জলপাইগুড়ির করলা নদীর সৌন্দর্য বাড়াচ্ছে পরিযায়ী পাখিরা

জলপাইগুড়ির টেমসের টলটলে জলে , ভিড় বাড়ছে পরিযায়ী পাখিদের ।জলপাইগুড়ি জেলা বলতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে, তিস্তা, করলা, লিস, ঘিস্, পাঙ্গা, যমুনা,জলঢাকা নদী সহ চা বাগানের সবুজ গালিচার মাথায় উঁকি দেওয়া হিমালয়। বহু নদী বেষ্টিত এই জলপাইগুড়ির অন্যতম একটি নদীর নাম করলা, যার বর্ণনা সন্ন্যাসী বিদ্রোহের পটভূমিতে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অনবদ্য সৃষ্টি দেবী চৌধুরানী, ভবানী পাঠকের কাহিনীতে ওঠে এসেছে।

শহরের বুক চিরে বয়ে চলা এই করলা নদীর আরেক নাম জলপাইগুড়ির টেমস। সেই স্থানিয় টেমস নদীর টলটলে জলে পুজো আসতেই ভিড় জমায় দেশীয় পরিযায়ী পাখির দল,  এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ইতিমধ্যেই, সারালি, দোচারা, সহ পানকৌড়ি পাখীর অবাধে নদীর জলে ভেসে যাওয়া বাড়িয়ে তুলেছে করলা নদীর সৌন্দর্যকে।

এই প্রসঙ্গে বিশিষ্ট পরিবেশবিদ, ড: রাজা রাউত বলেন,করলা নদী এই অঞ্চলের অন্যতম একটি নদী যে খানে দেশীয় পরিযায়ী পাখি দের দেখা মেলে, এছাড়াও সুদুর ইউরোপ থেকে তিস্তা এবং করলা নদীর পাড়ে ইদুর, ব্যাঙের খোজে পারি দেয় ব্লাক হুইল্ড বাজা, হ্যারিয়ার, মূলত এরা চীল প্রজাতীর পাখি।যেহেতু অবৈধ হলেও তিস্তা, এবং করলা নদী ঘেঁষে চাষবাস হয়, যার ফলে বেড়ে উঠে ইদুরের সংখা , সঙ্গে বর্ষায় নদীতে জন্মানো ব্যাঙ , মূলত এই খাদ্যের খোজেই ইউরোপ থেকে পাড়ি জমায় এই পাখির দল।