রাজ্যে জুড়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় পরিস্থিতি। একের পর এক দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে ১,৯১১ জন গ্ৰুপডি কর্মীর সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করতে হবে। এসএসসিকে নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের৷ তিনি বলেন, ‘‘আমার বিশ্বাস বেআইনি ভাবে দুর্নীতি করেই এই সব প্রার্থীদের সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল।’’
নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যে দুর্নীতি হয়েছিল, সে কথা স্বীকার করে নিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)৷ এসএসসি-র আইনজীবী আদালতে স্বীকার করে নেন যে, ১,৯১১ জন গ্ৰুপ-ডি প্রার্থীকে অন্যায় ভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। কমিশন তথ্য যাচাই করে আদালতে হলফনামা দিয়ে স্বীকার করে নেয়, ওই সব প্রার্থীর ওএমআর শিট-এ কারচুপি করা হয়েছে৷ নম্বর বাড়িয়েই তাঁদের চাকরির সুপারিশপত্র দেওয়া হয়৷
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের অনতিবিলম্বে ওয়েব সাইটে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ওই প্রার্থীদের সুপারিশ প্রত্যাহার করে নেয় এসএসসি। এ বার মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে আইন মেনে ওই প্রার্থীদের চাকরি অবিলম্বে বাতিল করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী বেতনও বন্ধ করা হবে ওই প্রার্থীদের৷ এতদিন তাঁরা যে বেতন পেয়েছেন, সেই টাকাও ফেরত দিতে হবে মাসে মাসে। বেআইনি ভাবে কারচুপি যে হয়েছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।