গত কয়েক মাস ধরে বেশ কিছু ভামের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে রবীন্দ্র সরোবর থেকে। এইভাবে লাগাতার ভামের মৃত্যু ঘিরে জট পাকাচ্ছে রহস্য। এই বিষয়টি প্রথম চোখে পড়েছে রবীন্দ্র সরোবরে নিয়মিত যাতায়াত করা কিছু ব্যক্তির। তারা ইতিমধ্যেই বিষয়টি রবীন্দ্র সরোবরের বার্ড ওয়াচিং কমিউনিটিকে জানিয়েছেন। এবং কমিউনিটির তরফ থেকে কেএমডি এ-কে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে বনদফতরকেও চিঠি পাঠানো হয়েছে এই বিষয়ে।
গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এখনো পর্যন্ত প্রায় তিনটি ভামের মৃত্যু ঘটেছে। কেএমডিএ-র এক কর্তা জানান, এই বিরল প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীর মৃত্যু কি কারণে হচ্ছে পুরো বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখছে। তাদের যা যা করণীয় সমস্তটাই পালন করা হবে। কী কারনে মৃত্যু হয়েছে তার স্পষ্ট না হলেও, মৃত্যুর পেছনে একাধিক কারণ অনুমান করা হচ্ছে। সরোবরের গা ঘেঁষেই বহু বাড়ি রয়েছে। অনেকসময় বাড়িতে ঢুকে পড়ে ভামেরা।ফলে রাগেও সেই বাড়ির লোকেরা বিষ দিতে পারে। আবার সরোবরে বেশ কিছু ইলেকট্রিক তার বিপদজনক অবস্থায় রয়েছে বলে জানান নিত্যযাত্রীরা, তা থেকেও ভামের মৃত্যু ঘটতে পারে। এছাড়াও সরবরে প্রচুর পরিমাণে কুকুরের উৎপাত বেড়েছে। আর ভামেরা কুকুরের শত্রু। কুকুরের আঘাতেও ভামের মৃত্যু ঘটতে পারে। তবে বয়স জনিত কারণে মৃত্যু হয়নি বলেই অনুমান করছেন কেএমডিএ।