চৈত্র নবরাত্রি হিন্দু নতুন বছরের সূচনা চিহ্নিত করে এবং এই উৎসব পয়লা বৈশাখ, বৈশাখী, উগাদি, গুড়ি পড়ওয়া, বহাগ বিহু, মহাবিষুব, সংক্রান্তির মত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নববর্ষ উৎসবের সঙ্গে পালিত হয়। উৎসব যত এগিয়ে আসছে, লোকাল শপস প্রোগ্রামের বিক্রেতারা তাঁদের ক্রেতাদের উৎসব সামগ্রীর এক বিস্তৃত সম্ভার জুগিয়ে আনন্দ দিতে তৈরি হচ্ছেন। গতবছর ৩০০+ বিক্রেতার থেকে পুজোর অত্যাবশ্যক জিনিস, মুদির দোকানের জিনিস ও মিষ্টি, তাজা ফুল এবং আরও অনেককিছুর ৩০০০+ অর্ডার সরবরাহ করা হয়েছিল। এবছর প্রায় ৪৭০০+ বিক্রেতা ভারত জুড়ে ৬০ হাজার উৎসব থিমের পণ্য জোগাচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গের এবং অন্যান্য শহরের ক্রেতারা স্থানীয় দোকান থেকে উৎসবের দিনেই ডেলিভারি পেয়ে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা শেষ করতে পারেন, যাতে একেবারে বাড়ির দরজায় জিনিসপত্র পৌঁছে দিয়ে ঝলমলে উৎসব নিশ্চিত করা যায়।
অভিষেক জৈন, হেড, লোকাল শপস অ্যাট অ্যামাজন ইন্ডিয়া, বললেন “দেশজুড়ে লোকাল শপস অন অ্যামাজন প্রোগ্রামের দ্রুত স্কেল আপ দেখে আমরা অত্যন্ত উৎসাহিত। মোটামুটি দুবছরে এই প্রোগ্রাম পশ্চিমবঙ্গের ১৫,০০০-এর বেশি অফলাইন স্টোরকে নিজের আওতায় নিয়ে এসেছে। এই ব্যবসায়ীরা Amazon.in এ বিক্রেতা হিসাবে নথিভুক্ত হয়েছেন এবং এই অনলাইন মার্কেটপ্লেসে ব্যবসা করার সুবিধা ভোগ করছেন। এই প্রোগ্রাম রাজ্যে যে প্রভাব ফেলছে তা থেকে স্পষ্ট হয়, কীভাবে ডিজিটাল ক্ষমতা লক্ষ লক্ষ অফলাইন খুচরো বিক্রেতা, মাইক্রো অন্ত্রেপ্রেনেয়র এবং অন্য ছোট ব্যবসাকে অনলাইন আসার সুযোগ দিতে পারে এবং ডিজিটাল অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারে। লোকাল শপস অন অ্যামাজনে আমাদের ফোকাস হল আরও বেশি খুচরো বিক্রেতাকে অনলাইন আনা, বৃহত্তর ক্রেতাসমাজের নাগাল দিয়ে তাদের ব্যবসার গতি বাড়ানো এবং তাদের শক্তিশালী ব্র্যান্ড তৈরি করার সুযোগ দেওয়া।”
অমিত পাল হলেন পশ্চিমবঙ্গের ফুলিয়ার ‘ঐশানী শাড়ি ঘর’ নামে এক দোকানের মালিকদের দ্বিতীয় প্রজন্ম। প্রায় ৩৫ বছর আগে তাঁর বাবার চালু করা এই দোকান ওই অঞ্চলের সুতির শাড়ির বাজারের ভিত্তি হিসাবে কাজ করে। ফুলিয়া সুতি ও জামদানি শাড়ির এক অগ্রগণ্য কেন্দ্র হিসাবে বিখ্যাত হলেও, শহরের বাইরের দিলে স্থানীয় বিক্রেতাদের দোকানে ক্রেতাদের আনাগোনা কমে গেছে। এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে ২০২২ সালে অমিত Amazon.in এর সঙ্গে পার্টনারশিপে ব্যবসায়ী ডিজিটাইজ করার সিদ্ধান্ত নেন এবং ২০২৩ সালের অগাস্টে লোকাল শপসে যোগ দেন। ফলে পয়লা বৈশাখ, দুর্গাপুজো এবং দিওয়ালির মত বড়সড় ভারতীয় উৎসবে প্রধানত পশ্চিমবঙ্গের ক্রেতাদের লক্ষ করে নিজেদের উৎসবকালীন পণ্য অনলাইনে জোগান। অমিত নিশ্চিত করে বললেন যে এই কৌশলগত পদক্ষেপ নেওয়ায় তাঁর দোকানের উৎসবের মরশুমে বিক্রি ৫০-৬০% বেড়ে গেছে।
অমিত বললেন পয়লা বৈশাখে বিশেষ করে বাঙালিদের মধ্যে সুতির শাড়ির চাহিদা তুঙ্গে ওঠে বুঝে তাঁর দোকান ট্রেন্ডিং আর প্রথাগত ডিজাইন – দুরকমেরই বিচিত্র সম্ভার বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে সংগ্রহে রেখেছে। ফলে পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে এক বা দুদিনের মধ্যে সঙ্গে সঙ্গে ডেলিভারি নিশ্চিত করা গেছে। দীপক আশা প্রকাশ করে বললেন “আমরা আশা করছি পয়লা বৈশাখে বিক্রি তিনগুণ বেড়ে যাবে। অনেকটা দুর্গাপুজোয় যতটা বাড়ে তার কাছাকাছি। এত বেশি চাহিদা মেটাতে এই চূড়ান্ত ব্যস্ততার পর্বে আমরা বিক্রি, উৎপাদন, প্যাকেজিং এবং অপারেশনাল ম্যানেজমেন্টের বিভিন্ন ভূমিকায় ২০ জনের বেশি মহিলাকে নিয়োগ করেছি।” আজ অমিত হলেন পশ্চিমবঙ্গের ১৫,০০০-এর বেশি অফলাইন খুচরো বিক্রেতা এবং স্থানীয় দোকানদারদের একজন, যাঁরা ‘Local Shops on Amazon’ প্রোগ্রামে যুক্ত। এই প্রোগ্রাম অফলাইন খুচরো বিক্রেতা এবং স্থানীয় দোকানদারদের নিজেদের ব্যবসাকে ডিজিটাইজ করতে এবং অফলাইন দোকানের কেনাকাটার সঙ্গে Amazon.in -এ ডিজিটাল উপস্থিতির মাধ্যমে নিজেদের আওতা বাড়িয়ে ব্যবসা আরও কিছুটা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এই প্রোগ্রাম ক্রেতাদেরও নিজের শহরের স্থানীয় দোকানের (যার অনেকগুলো হয়ত এমনিতেই তাঁদের বিশ্বস্ত এবং পছন্দসই) জিনিসপত্র বাড়ির আরামে বসেই খুঁজে পেতে সাহায্য করে, অন্যদিকে স্থানীয় দোকানগুলোকে ডিজিটাল স্টোরে পরিণত হতে সাহায্য করে। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে বিক্রেতারা নিজেদের একেবারে কাছের ক্রেতাদের বাইরে অন্য ক্রেতাদের কাছেও বিক্রি করতে পারেন, যে ডেলিভারি ব্যবস্থা চালু আছে তার মাধ্যমে অথবা চিহ্নিত কুরিয়ার পার্টনারদের মাধ্যমে। তাঁরা অ্যামাজনের অন্যান্য ফুলফিলমেন্ট প্রোগ্রামও ব্যবহার করতে পারেন, যেমন ‘ইজি শিপ’, ‘সেলার ফ্লেক্স’, যাতে নিজের শহরে এবং সারা ভারতের অন্য জায়গাতেও তাঁদের ব্যবসা ছড়ায়।