কলকাতার মার্জিত রাজকুটির বুটিক হোটেলে একটি বিশেষ সন্ধ্যায় মেরিনো মনন-এর উদ্বোধনী সংস্করণের আয়োজন

মেরিনো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, কলকাতার মার্জিত রাজকুটির বুটিক হোটেলে ৪ ডিসেম্বরে একটি বিশেষ সন্ধ্যায় মেরিনো মনন-এর উদ্বোধনী সংস্করণের আয়োজন করে। চিন্তাশীল ডিজাইনের উদযাপন ও তার মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন চাহিদা মেটানোর সমাধানসূত্র খুঁজে পেতে “মেরিনোর চিন্তাশীল ডিজাইন সলিউশনস” থিমকে সামনে রেখে এই ইভেন্টের আয়োজন করা হয়। এই অভিনব উদ্যোগ শহরের বিশিষ্ট আর্কিটেক্ট এবং ইন্টেরিয়র ডিজাইনার এবং তাদের অংশীদারদের এক মঞ্চে নিয়ে এসেছিল। এই অনুষ্ঠানে তারা চিন্তাশীল ডিজাইনগুলির মাধ্যমে কী ভাবে ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতাকে উন্নত করতে পারে- তা নিয়ে একটি আলোচনা সভারও আয়োজন করে। 

মেরিনো মনন সেক্টর ও ইন্টেরিয়র শিল্পের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নত করার উদ্যোগ নেয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখে মেরিনো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক শ্রী মনোজ লোহিয়া জানিয়েছেন, “মেরিনোতে, আমরা বিশ্বাস করি যে ডিজাইন মানে শুধুই নান্দনিকতা বা কার্যকারিতাই নয়, বরং ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন চাহিদা পূরণ করে অর্থপূর্ণ সমাধান প্রদান করাই ডিজাইনের লক্ষ্য হওয়া উচিত। মেরিনো মননের মাধ্যমে, আমরা এমন কথোপকথনকে উৎসাহ দিই, যা ডিজাইনে সহানুভূতি এবং চিন্তাশীলতাকে অনুপ্রাণিত করার বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্যবহারকারীর বিবৃত এবং অব্যক্ত ইচ্ছা উভয়ই পূরণ করবে। এই যাত্রার সূচনা করা হচ্ছে ‘সিটি অব জয়’কলকাতায়, যে শহরের একটি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের পাশাপাশি রয়েছে ডিজাইন নিয়ে এক প্রাণবন্ত সংবেদনশীলতা।”

মিউজিয়াম বা আর্ট গ্যালারির অনুকরণে তৈরি পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই ইভেন্টে মেরিনোর সাম্প্রতিক কিছু সম্ভারও প্রদর্শিত হয়েছে – যা চিন্তাশীল উদ্ভাবনের প্রতি কোম্পানির প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। ইক্কাত এবং চিকনকারির মতো ভারতীয় টেক্সটাইল দ্বারা অনুপ্রাণিত সম্পাদা ল্যামিনেট সংগ্রহটি আধুনিক নকশার সঙ্গে মিশ্রিত ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্পের উদযাপন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়াও, এখানে  মিস্টিক নামের নতুন বিশ্রামাগার কিউবিকেল মডেল উপস্থাপন করা হয়, যা ভারতে প্রথমবার তৈরি করা হয়, এটি চকচকে ফিনিশ-সহ সম্পূর্ণ উচ্চতা এবং গোপনীয়তা প্রদান করার সাথে সাথে কার্যকর এবং নান্দনিক উভয় চাহিদাই মেটায়।

দুই নেতৃস্থানীয় আর্কিটেক্ট, উদ্ভাবনী ও চিন্তাশীল ডিজাইন নিয়ে তাঁদের দর্শন সকলের সাথে শেয়ার করে এই সন্ধ্যার বৌদ্ধিক পরিবেশকে আরও সমৃদ্ধ করে তোলেন। তাঁরা জোর দেন যে, কী ভাবে নান্দনিক নকশা মানুষের বিভিন্ন ধরণের অভিজ্ঞতা পূরণ করতে পারে। এমনকি, এর কার্যকারিতার বাইরে গিয়েও সহানুভূতি এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিকল্পনার মাধ্যমে স্থান ও আসবাব তৈরির গুরুত্ব ফুটে ওঠে তাঁদের এই আলোচনা সভায়। এ দিনের সন্ধ্যার মুখ্য আকর্ষণ ছিল প্রখ্যাত অভিনেতা, পরিচালক এবং জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্র নির্মাতা শ্রী সঞ্জয় নাগের মূল বক্তৃতা। গল্প বলা এবং নকশার মধ্যে সঙ্গতিকে তুলে ধরে তিনি বোঝান যে, সিনেমা হোক বা স্থাপত্য- গল্প বলার ক্ষেত্রে কীভাবে সহানুভূতিশীলতা এবং চিন্তাশীলতা দর্শকদের সঙ্গে গভীর সংযোগ গড়ে তোলে। মূল বক্তব্যের পরে একটি আকর্ষণীয় প্রশ্নোত্তর পর্বের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে সকলে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন এবং পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে এই বিষয় নিয়ে আরও গভীরভাবে অন্বেষণ করা হয়।