নিউরোপ্যাথিক ব্যথা এমন একটি ঝুঁকি, যা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ডায়াবেটিসের মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত থাকলে এটি গুরুতরভাবে রক্তনালীগুলির ক্ষতি করতে পারে। ফলে, রক্তনালী সংকীর্ণ হয়ে যেতে পারে, যা স্নায়ুতে অক্সিজেন এবং পুষ্টির সরবরাহকে ক্রমশ হ্রাস করে। এই দুর্বল রক্ত প্রবাহ স্নায়ুর ক্ষতি করতে পারে এবং নিউরোপ্যাথিক ব্যথা ডেকে আনে। রক্তে শর্করার পরিমান বেশি থাকলে স্নায়ু কোষগুলিকে ব্যাহত হতে পারে, যা স্নায়ুর ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ায় এবং স্নায়ুগুলিকে মেরামত করা কঠিন হয়ে যায়।
এই বিষয়ে দুর্গাপুরের আরোগ্যম নিউরো ক্লিনিকের ডাঃ প্রবীণ কুমার যাদব পরামর্শ দিয়েছেন যে, ডায়াবেটিস সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করলে স্নায়ুরোগজনিত ব্যথা হ্রাস করা যেতে পারে। এটি স্নায়ুর ক্ষতি প্রতিরোধ এবং কার্যকর চিকিত্সা প্রদান করতে পারে। তিনি রোগীদের ব্যথা-সম্পর্কিত যেকোনো উদ্বেগের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার উপদেশ দিয়েছেন।
ডায়াবেটিস রোগীদের ভিটামিন বি এর মতো প্রয়োজনীয় ভিটামিনের অভাবও থাকতে পারে, এটি স্নায়ুর স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি নিউরোপ্যাথির লক্ষণগুলিকে আরও বাড়াতে পারে। তাদের এই ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি, এবং এদের যদি রক্তে শর্করার মাত্রা দীর্ঘায়ীত হয়, তবে এটি পেরিফেরাল স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে স্নায়ুর ক্ষতি করতে পারে। ডাঃ প্রবীণ কুমার জানিয়েছেন যে নিউরোপ্যাথিক ব্যথা বাহু, পা এবং শরীরের অন্যান্য অংশে সংবেদন এবং নড়াচড়ায় সহায়তা করে। এছাড়াও, উচ্চ রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথিতে স্নায়ুর ক্ষতি হতে পারে।ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথির উপসর্গগুলির মধ্যে রয়েছে টিংলিং, ক্র্যাম্প, জ্বালাপোড়া, ব্যথা এবং দুর্বলতা, যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হাত ও পায়ে শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে বাহুতে ছড়িয়ে পড়ে। ডায়াবেটিস রোগীদের পায়ের ক্ষত, দুর্বলতা, ঝনঝন, ব্যথা বা যেকোনো শারীরিক পরিবর্তনের নজরে আসলে শীঘ্রই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।