আদালত চত্বর থেকে পুলিশ কর্মীর গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার

বুধবার সকাল সাতটা নাগাদ আদালতের একতলা থেকে গুলির শব্দ শুনতে পাওয়া যায়। এরপরেই সেখানে ছুটে যান আদালতের অন্যান্য কর্মী এবং পুলিশ কর্মীরা। তারা দেখতে পান গোপালের কপালে গুলির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। চেয়ারে বসা অবস্তায় রয়েছেন তিনি। এরপর দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খাস কলকাতায় আদালত চত্বর থেকে পুলিশ কর্মীর গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধারকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল। বিবাদী বাগে অবস্থিত নগর দায়রা আদালতের একতলা থেকে ওই পুলিশ কর্মীর দেহ উদ্ধার হয়। তিনি আদালতের ৮ নম্বর এজলাসের বিচারকের দেহরক্ষী ছিলেন বলে জানা গেছে।

প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, ওই পুলিশ কর্মী আত্মঘাতী হয়েছেন। নিজের সার্ভিস রিভলভার দিয়েই গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। মৃত পুলিশ কর্মীর নাম গোপাল নাথ। যদিও এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনাটি কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায় আদালত চত্বরে। ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছায় বিশাল সংখ্যক পুলিশ। কার্যত আদালত চত্বর ঘিরে ফেলে পুলিশের বিশাল বাহিনী। কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রালও সেখানে পৌঁছান। এছাড়াও পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা সেখানে পৌঁছান। ঘটনায় স্নিফার ডগ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।    

জানা গিয়েছে, বিচারকের ওই দেহরক্ষীর কাছে ৯ এমএম সার্ভিস রিভলভার ছিল। সেই রিভলবার থেকেই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তিনি। চেয়ারে তাঁর মৃত দেহ পড়েছিল। ফলে এই ঘটনাটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। কী কারণে তিনি এই রকম পদক্ষেপ নিয়েছেন তা এখনও জানা যায়নি। তাঁর রহস্য মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে সব দিক থেকে তদন্ত করছে পুলিশ। তাঁর পরিবারের সদস্যদেরসাথে কথা বলছেন লালবাজারের গোয়ন্দারা। তিনি পারিবারিক বা ব্যক্তিগত কোনও সমস্যায় ভুগছিলেন কি না তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। কর্মক্ষেত্রে কোনও সমস্যা ছিল কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।