লিসনদীর বাঁধ ভেঙে চান্দা কলোনির বাড়িঘর জলমগ্ন

মাঝ আষাঢ় মাসের প্রবল বর্ষনে জলচ্ছাস ঘটল মাল ব্লকের লিস নদীতে।বাগরাকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের চান্দা কলোনির বাড়িঘর জলমগ্ন। বাসিন্দারা জাতীয় সরকের উপর এসে দাঁড়িয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নদীর গতিপথ পরিবর্তন করে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। সোমবার রাতভর কালিম্পং জেলার পাহাড়ি এলাকায় প্রবল বর্ষন চলে।সেই বর্ষনের জলধারা লিস,ঘিস সহ বিভিন্ন নদী দিয়ে সমতল অভিমুখে নেমে আসে। সৃষ্টি হয় লিস নদীতে জলস্ফীতি। প্রবল জলস্রোতের ধাক্কায় লিস নদীর জাতীয় সরক ও রেললাইনের মাঝে থাকা গাইড বাঁধের প্রায় ২০-২৫ মিটার অংশ ভেঙে মঙ্গলবার সকালে জলস্রোত ঢুকে পড়ে চান্দা কলোনিতে।

বাড়িঘর জলমগ্ন হয়ে পড়ে। বাসিন্দারা জাতীয় সরকের উপর উঠে আসে। লিস নদীর জলস্রোত চান্দা কলোনিকে ডুবিয়ে পাশের ছোট ভুলিয়া ঝোড়াতে এসে পড়ে। জাতীয় সরকের নিচে ঝোড়ার ছোট প্রবাহ দিয়ে বইতে শুরু। এতে জাতীয় সরকের পাশে জল জমে সরক ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দেয়। পরিস্থিতি বুঝে যুদ্ধ কালীন তৎপরতায় নদীর গতিপথ ঘুরিয়ে মুল স্রোতে ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়। কয়েকটি পকলিং মেসিন ও জেসিবি মেসিনের সাহায্যে চ্যানেল কেটে নদীর গতিপথ ঘুরিয়ে মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি বাঁধের ভাঙা অংশে লোহার জাল ও পাথর দিয়ে দ্রুত গতিতে মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে।

বাগরাকোট অঞ্চল তৃনমুল সভাপতি রাজেশ ছেত্রী জানান, নদীর গতিপথ মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে। দরকার হলে আরও জেসিবি নামানো হবে।নদীর গতিপথ ঘুরিয়ে তারপর  জাল ও পাথর দিয়ে বাঁধ মেরামতের কাজও এখন শুরু হবে। এদিকে সকাল থেকে পাহাড় ও সমতল জুড়ে চলছে বৃষ্টি। উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে নদীর পারের মানুষজন।অন্যদিকে তিস্তা নদীর জলচ্ছাসে আবারও জল মগ্ন হয়ে পড়েছে মাল ব্লকের টটগাও বস্তি। বাসিন্দারা এদিক ওদিক সরে আসতে শুরু করেছে।