নবান্ন অভিযানে গুরুতরভাবে আহত হয়েছে ট্রাফিক সার্জেন্ট দেবাশিস কুন্ডু

‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজ’-এর নবান্ন প্রচারে ‘ডিউটি’ পড়েছিল কলকাতার স্ট্র্যান্ড রোডে। গাড়িতে করে সেখানে যাওয়ার পথে আন্দোলনকারীদের ছোড়া ইট সরাসরি তার বাম চোখে লাগে। কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট দেবাশিস চক্রবর্তীকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তার চোট এতটাই গুরুতর যে দেবাশিস এখনও কলকাতার শঙ্কর নেত্রালয়ে চিকিৎসাধীন। পুলিশ সূত্রে খবর, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সার্জেন্টের বাম চোখে দৃষ্টিশক্তি হারানোর আশঙ্কা রয়েছে। এতে দেবাশিসের সঙ্গে গাড়িতে থাকা আরও দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। তাদেরও চিকিৎসা চলছে।

কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেবাশিস ইস্টার্ন ডিভিশনের সাইবার সেলের ইনচার্জ হিসেবে কাজ করছেন। মঙ্গলবার নবান্ন প্রচারের জন্য ৩৭ বছর বয়সী সার্জেন্ট ফারলং গেটে ডিউটিতে ছিলেন। তার সঙ্গে অন্যান্য পুলিশ সদস্যরাও ছিলেন। আন্দোলন ক্রমেই সহিংস হয়ে উঠছিল। তখন দেবাশিস সহ কয়েকজন পুলিশ অফিসারকে স্ট্র্যান্ড রোডের দিকে এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

তখনই আক্রমণের মুখে পড়েন দেবাশিসরা। পুলিশ জানায়, কয়েকজন বিক্ষোভকারী পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে থাকে। একটি ইট উড়ে গিয়ে ট্রাফিক সার্জেন্টের বাম চোখে আঘাত করে। দেবাশিসের সাথে ছিলেন অন্য দুই সার্জেন্ট অতনু রায়চৌধুরী এবং ডেভিড টপনোয়, হোমগার্ড দেবাশিস কুন্ডু। ওই তিনজনও আহত হয়েছেন। দেবাশিসের চোখ ও নাকে আঘাত লেগেছে। তিনি কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নবান্ন  অভিযানে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন পুলিশ ও আন্দোলনকারী আহত হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ করা হয়। পুলিশকে মাটিতে ফেলে পিটিয়ে, লাথি মেরেছে। বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যের মাথায় ইটের আঘাত লেগেছে। মঙ্গলবার, এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ)সুপ্রতিম সরকার বলেছেন যে নবান্ন অভিযানে তাদের দায়িত্ব পালন করার সময় মোট ১৫ জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন।