সম্প্রতি বিশ্বের দ্রুততম মানব নীলকণ্ঠ ভানু, জাতীয় পাটিগণিত চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজন করেছিলেন, যেখানে ভারতের ৭৫০টি শহরের ৬,০০০-এরও বেশি পড়ুয়া অংশ নিয়েছিল। যদিও এর মধ্যে থেকে কেবল ৩০০+ জনই চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছতে পারে। তাদের মধ্যে একজন, পশ্চিমবঙ্গের চুঁচুড়ার ৭ম শ্রেণীর দীপ্তরকো ভট্টাচার্য, চূড়ান্ত পর্বে ২০০ টিরও বেশি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে তার অসাধারণ পারফর্ম্যান্সের সাথে এই খেতাবটি জিতে নেয়। সে জানায়, “এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পেরে আমি সত্যিই একটি অসাধারণ অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পেরেছি। এখানে আমি ২০০+ প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়ে আরও বেশি অবাক হয়েছি। আমি বরাবরই গণিত পছন্দ করতাম, এবং প্রতিযোগিতার আগে প্রতিটি স্তরের অনুশীলন করার ফলে আমি আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছিলাম। প্রতিযোগিতাটি আমাকে আগাম চ্যাম্পিয়নশিপগুলির জন্য আরও অনুপ্রাণিত করেছে।”
দীপ্তর্কোর মা শ্রীমতি মানসী কুণ্ডু তার ছেলের এই কৃতিত্ব সম্পর্কে জানায় যে, আমার ছেলের এই কৃতিত্বর কথা জানতে পেরে সত্যিই আনন্দে ভরে গেছিলাম। এটি এমন একটি মুহূর্ত, যা সারাজীবন আমাদের কাছে অনুপ্রেরণামূলক স্মৃতি হয়ে বেঁচে থাকবে।প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল বিশ্বের দ্রুততম মানব ক্যালকুলেটর নীলকণ্ঠ ভানু, যিনি গণিতকে আরও সহজ করে তুলতে ভানজু প্ল্যাটফর্মও তৈরী করেছেন। এই প্ল্যাটফর্মটি গণিতকে কেবল উপভোগ্যই করে তোলে না, বরং শিশুদের চারগুণ দ্রুত সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় আত্মবিশ্বাস জোগায়। প্রতিযোগিতায় পড়ুয়াদের ১,৮০,০০০ টি প্রশ্ন করা হয়েছিল, যার মধ্যে চূড়ান্ত রাউন্ডেই ৪৫,০০০ এরও বেশি সঠিক উত্তর রেকর্ড করা হয়।
প্রতিযোগিতার উদ্ভাবক এবং ২০২০ সালের মানসিক গণনা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের স্বর্ণপদক বিজয়ী শ্রী নীলকণ্ঠ ভানু জানান, চ্যাম্পিয়ন তৈরী হওয়ার মূল কারণ হল তাদের ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে অনুশীলন এবং আমাদের ফাইনালিস্টরাও ঠিক একইভাবে তৈরী করেছেন নিজেদেরকে। প্রতিযোগিতাটি এক সপ্তাহ ধরে চলা সত্ত্বেও অংশগ্রহণকারীরা কেবল কয়েক মিনিটের মধ্যেই চ্যালেঞ্জগুলি সম্পন্ন করে। এই চ্যাম্পিয়নশিপের সাহায্যে, আমরা শিক্ষার্থীদের গণিতের ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলতে এমনভাবে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি যা আগে কখনও ঘটেনি।”