রাজ্যে জুড়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় পরিস্থিতি। যতদিন এগিয়ে চলেছে ততই প্রকাশ্যে এসেছে একের পর এক তথ্য, নাম জড়িয়েছে একাধিকের। এই পরিস্থিতিতে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে ইডি যে চার্জ শিট পেশ করেছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা তাদের রিপোর্টে বলেছে, কালো টাকা সাদা করার জন্য অনুব্রত মণ্ডল বিভিন্ন লোককে ধরেছিলেন।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা তাদের চার্জশিটে বলেছে, অনুব্রত মণ্ডল শান্তনু মজুমদার নামের এক প্রোমোটারকে বেশ কয়েকবার কাজে ব্যবহার করেছিলেন। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন নগদে শান্তনুকে কখনো আশি লক্ষ টাকা কিংবা এক কোটি টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়েছিল। এরপর তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল নিজের কমিশনের টাকা কেটে বাকি টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে অনুব্রত মণ্ডলের অ্যাকাউন্টে জমা করে দিতে।
এছাড়াও এই চার্জশিটে অনুপম চট্টোপাধ্যায় নামে এক এলআইসি এজেন্ট এর নামও রয়েছে। তাকে ১০ লাখ টাকা নগদ দিয়ে, অনুব্রত একটি বিমা করতে চান বলেছিলেন। অনুপম গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন, এর দুদিন পরেই অনুব্রত তাকে জানান তিনি বিমা করবেন না। ১০ লক্ষ টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকা কেটে বাকি টাকা যেন অনুব্রত মণ্ডলের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে দেওয়া হয়।