রাজ্যে জুড়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় পরিস্থিতি। প্রকাশ্যে এসেছে একের পর এক তথ্য, নাম জড়িয়েছে একাধিকের। এই পরিস্থিতিতে নিয়োগ দুর্নীতি চক্রে আচমকাই যেন নিয়োগ দুর্নীতির মধ্যে জড়িয়ে পড়েছেন বিরোধী নেতা দিলীপ ঘোষ, সুজন চক্রবর্তী, শুভেন্দু অধিকারীরা। ইতিমধ্যে তো সুজন জায়া মিলি চক্রবর্তীর চাকরি নিয়ে বড় অভিযোগ করেছে তৃণমূল। দাবি করা হয়েছে, পরীক্ষা ছাড়াই কলেজের চাকরিতে ঢুকেছিলেন তিনি, অর্থাৎ দুর্নীতি গন্ধ পাচ্ছে ঘাসফুল শিবির।
এই নিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেই এই ব্যাপারে তদন্তের সিদ্ধান্ত হবে। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী দাবি করেন, বাম আমলেও ৪৬ হাজার নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে। ব্রাত্যের দাবি, ‘কম্পট্রোলার অডিট জেনারেল অব ইন্ডিয়া’ বা ক্যাগের রিপোর্টে এর স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। শেষে তিনি স্পষ্ট করেন, গোটা বিষয়টি সরকারি ভাবে খতিয়ে দেখা হবে। তবে এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছেন ব্রাত্য বসু। তাঁর কথায়, ক্যাগের এই রিপোর্ট ২০০৯-২০১০ সালের, তখন বাংলায় বামফ্রন্ট সরকার। কিন্তু এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসে ২০১৭ সালে। তাহলে এতদিনেও কেন কেন্দ্রীয় সরকার এ নিয়ে তদন্ত করেনি, তা বড় প্রশ্ন।