GSK- এর মতে ভারতের ২৬০ মিলিয়ন প্রাপ্তবয়স্কের টিকাদান জরুরি

ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডাবলুএইচও), হেলদি এজিং-কে “দ্য প্রসেস অফ ডেভেলপিং এন্ড মেনটেনিং ফাঙ্কশনাল ক্যাপাসিটি দ্যাট এনাবেলস ওয়েল-বিঙ ইন ওল্ড এজ”- এর মাধ্যমে ব্যাক্ত করেছে। বেসলাইন রিপোর্ট ২০২০ অনুযায়ী, ডাবলুএইচও হেলদি এজিং এর জন্য টিকাদানকে অন্যতম স্ট্রাটেজি হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

ভারতীয় জনসংখ্যা দ্রুত বার্ধক্যের দিকে এগোচ্ছে এবং ৫০ বছরের অধিক বয়সী মানুষের সংখ্যা ২০২০ সালে ২৬০ মিলিয়ন থেকে ২০৩৬ সালে ৪০৪ মিলিয়নে পৌঁছাবে বলে মনে করা হচ্ছে, যা ভারতের ২৭% জনসংখ্যাকে রিপ্রেসেন্ট করবে। বার্ধক্যের কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং সেজন্য শরীরে সংক্রমক রোগের যেমন নিউমোনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং দাদ ও তার জটিলতার জন্য ঝুঁকি বাড়ে। দাদ একটি ভাইরাল রোগ, এটি একটি বেদনাদায়ক ফুসকুড়ি, এর ব্যথাটিকে প্রসব ব্যথার সাথে তুলনা করা হয়ে থাকে। অনেকের ক্ষেত্রে ফুসকুড়ি পরিষ্কার হয়ে যাওয়ার পরেও স্নায়ুতে ব্যথা থেকে যায় যা তাদের দৈনন্দিন জীবনে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

গুয়াহাটির ক্লিনিকে প্র্যাকটিস করছেন রিউমাটোলজিস্ট, ড. ভবানী প্রসাদ চক্রবর্তী বলেছেন, “কোভিড-১৯ মহামারী আমাদের দেখিয়েছে যে কিভাবে টিকাদান আমাদেরকে গুরুতর সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে। বিশেষ করে, এটি প্রাপ্তবয়স্কদের জীবন বাঁচানোর শক্তি বাড়িয়েছে। দাদ, ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোনিয়ার মতো প্রাণঘাতী রোগ থেকে রক্ষার ক্ষেত্রে টিকা সব রকমের জটিলতা নিরাময় করতে পারে। আমি প্রতি মাসে ৫০ বছর বা তার বেশি বয়সের ৩৫০-৪০০ রোগী দেখি এবং আমি তাদের হেলদি এজিং-কে উত্সাহিত করার জন্য প্রয়োজনীয় টিকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকি।” গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড দ্বারা এই উপদেশটি শুধুমাত্র জনগণকে টিকা সম্পর্কে সচেতন করার জন্য জারি করা হয়েছে।