River Errosion at CoochBehar: ৫  টি কারনে ভাঙ্গন বাড়ছে কোচবিহারের নদীগুলিতে

River Errosion at CoochBehar: ৫ টি কারনে ভাঙ্গন বাড়ছে কোচবিহারের নদীগুলিতে

বর্তমানে টানা বর্ষনে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গের  জনজীবন । রাজ্যের সবচেয়ে নদী (River)বাহিত জেলা কোচবিহারের বাসিন্দাদের অবস্থা আরোও করুণ । তিস্তা, তোর্ষা, জলঢাকা, ধরলা , কালজানি, বানিয়াদহ বানিয়াদহ সহ বিভিন্ন নদী পাড় ভেঙ্গে চলছে অবিরাম  । ভিটে মাটি হারিয়ে অনেকেই পথে বসেছে । গুটি গুটি পায়ে নদী এগিয়ে আসছে অনেকের বসত বাড়ির দিকে । নিরুপায় হয়ে প্রকৃতির ইচ্ছের উপরে তাদের ভাগ্য ছেড়েদিয়েছেন তারা । সেচ দপ্তর প্রতিনিয়ত নদী ভাঙ্গন নিয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছে । বর্ষা পেরোতেই কোচবিহারের (CoochBehar) ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন  করা হবে । এরপরেই ভাঙ্গন রোধের ব্যবস্থা করবে প্রশাসন । তবে কেন প্রতি বছর এত নদী ভাঙ্গন হয় এই জেলায় তার ৫ টি কারন জেনে নিন  :  

অধিকাংশ নদীর মধ্য বা নিন্ম গতি কোচবিহারে (CoochBehar)

নিন্ম গতিতে নদী সবচেয়ে বেশী পাড় ভাঙ্গে । নদীর মধ্যগতি থেকে পাড় ভাঙ্গা শুরু হয় । হিমালয় থেকে উৎপন্ন হয়ে ডুয়ার্স এলাকায় হয়ে  কোচবিহারে নদীগুলির মধ্য গতি শুরু হয় । তারপর দেশের সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে কোনো বড় নদী বা ব্রহ্মপুত্রে বিলীন হয়েছে নদীগুলি । ফলে কোচবিহার হয় নদী ভাঙ্গনের সুচনা লগ্নের মধ্য ভাগ বা সবচেয়ে বেশী উপদ্রুত নিন্মভাগে পড়েছে । ফলে এই জেলায় রাজ্যের অন্যান্য এলাকার চেয়ে নদী ভাঙ্গন বেশী ।

River Errosion at CoochBehar: ৫  টি কারনে ভাঙ্গন বাড়ছে কোচবিহারের নদীগুলিতে

নদীর(River) কম গতি

হিমালয় থেকে উৎপন্ন হয়েই দ্রুত গতিতে সমতলের দিকে ধাববান হয় নদী (River)। পাহাড়ে নদীর গতি অনেকটাই বেশী থাকে । সমতলে এসে গতি অনেকটাই কমে যায় ।  ফলে পাহাড় থেকে বয়ে নিয়ে  আসা নুড়ি পাথর জমা হয় এখানে । দীর্ঘদিন ধরে জমা হতে হতে চরের সৃষ্টি হয় । সমতলে  ঢাল কম থাকায় নদী একে বেকে চলে  ।  তখন চর এড়িয়ে নতুন দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে । তখনই ভাঙ্গন বাড়ে কোচবিহারে (CoochBehar) ।

যেমন তোর্ষা নদী(River) হিমালয় থেকে উৎপন্ন হয়ে ভুটান হয়ে জয়গার কাছে সমতলে এসেছে । জয়গা থেকে কোচবিহারে পেরিয়ে ব্রহ্মপুত্রে পতিত হওয়ার আগে এই জেলায় একে বেকে চলে । ধীর গতি চর এড়িয়ে চলার সময় ভাঙ্গন বাড়াতে থাকে কোচবিহারে । আতঙ্কে প্রহর কাটাতে হয় তোর্ষার পাড়ের বাসিন্দাদের ।

River Errosion at CoochBehar: ৫  টি কারনে ভাঙ্গন বাড়ছে কোচবিহারের নদীগুলিতে

হিমালয়ের কারনেও ভাঙ্গন বৃদ্ধি

হিমালয় হল নবীন ভঙ্গিল পর্বত । এই পর্বতের উৎপত্তির আগে এখানে টেথিস মহাসাগর ছিল । তাই এই পর্বত ততটা কঠিন নয় ।  তাই এই পর্বত থেকে উৎপন্ন নদীগুলি বেশী করে নুড়ি পাথর বয়ে নিয়ে আসে । কোচবিহারে পাথর গুলি জমা হয়ে নদীর চলার পথে বাধা সৃষ্টি করলে নদী পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ভাঙ্গন বাড়ায় এই জেলায় ।

পাহাড়ে ধ্বস

পাহাড়ে ধ্বস নামলে বড় পাথর সহ বিভিন্ন সামগ্রী নদী তে এসেই জমা হয় । সেগুলি নদীগুলি বয়ে এনে সমতলে জমা করে । হিমালয়ের ধ্বসের সব সামগ্রী ভুটান বয়ে আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে জমা করে উত্তরবঙ্গের অধিকাংশ নদী । সেগুলি জন্য নদী পথ সরে গিয়ে ভাঙ্গন বাড়ে এই জেলাগুলিতে  ।

বর্ষার অতিরিক্ত জল

হিমালয়ের পাদদেশে বর্ষাকালে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটে । বৃষ্টির জল সব নদীগুলিতে গিয়ে পড়ে । অতিরিক্ত জল পেয়ে শক্তি বৃদ্ধি হয় নদী । কোবিহারের এবারে আগেই বর্ষা এসেছে । এমাসেই ৫০০ মিলি বেশী বৃষ্টি হয়েছে । ফলে জল বেড়ে যাওয়াতে আপন বেগে চলতে গিয়ে ভাঙ্গন বাড়ছে এই জেলায় ।

ভাঙ্গন রোধে সেচ দপ্তরের ভুমিকা

River Errosion at CoochBehar: ৫  টি কারনে ভাঙ্গন বাড়ছে কোচবিহারের নদীগুলিতে

নদী ভাঙ্গন রোধে একাধিক নদীতে বাধ দিয়েছে সেচ দপ্তর । তবুও অনেক অসুরক্ষিত জায়গায় ভাঙ্গন বাড়ছে । সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা প্রতিনিয়ত খোঁজ নিচ্ছেন নদী ভাঙ্গন সম্পর্কে । বর্ষা পেরোলেই নদী ভাঙ্গন নিয়ে রাজ্যে বিস্তারিত রিপোর্ট দিবেন তারা । উপর থেকে অনুমতি মিললেই অসুরক্ষিত এলাকায় বাঁধের কাজ শুরু করবে তারা ।  

Subscribe Our Youtube Channel more more news.

আগাম বর্ষায় সেচ দপ্তরের কাজে বাধা এবছর

এবছর অনেকটা আগে বর্ষা ঢুকে পড়েছে কোচিহারে (CoochBehar)। ফলে সেচ দপ্তরের কর্ম দিবসে ব্যাঘাত ঘটেছে ।  বর্ষার জন্য নির্মানকারী সংস্থার কর্মীরা কাজ করতে পারছে না । তাই বানিয়াদহ সহ একাধিক নদীতে বাধ তৈরির কাজ অসম্পুর্ন হয়ে রয়েছে ।  বর্ষা শেষে নতুন উদ্যমে এই জেলায় নদী ভাঙ্গন রোধের কাজ শুরু করবে সেচ দপ্তর । বর্ষার সময়ে নজরদারী বাড়িয়েছে তারা ।

সেচ দপ্তরের মন্তব্য

কোচবিহারের সেচ দপ্তরের এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিক BNN Bangla (www.bengalnewsnow.com) কে জানান , আমরা বর্ষার সময় নজরদারী বাড়িয়েছি । নদী ভাঙ্গন নিয়ে প্রতিনিয়ত  রাজ্যে রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে । বর্ষা শেষে  সম্পুর্ন  রিপোর্ট পাঠিয়ে নদী  ভাঙ্গন রোধের পরিকল্পনা পাঠানো হবে । উর্ধতন কতৃপক্ষের  অনুমতি মিললেই কাজ শুরু করা হবে । এবছর বর্ষা আগাম এসে যাওয়াতে বানিয়াদহ নদীর বাধ নির্মানের কাজ আটকে রয়েছে

Follow us on Facebook

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *