প্রতি বছর ২৩শে জানুয়ারী পালিত জাতীয় অ্যালমন্ড দিবস, এটি প্রতিদিনের ডায়েটে অ্যালমন্ড বাদাম অন্তর্ভুক্ত করার গুরুত্ব তুলে ধরে। ছোটবেলা থেকেই আমাদের মা এবং ঠাকুমারা দিনে অন্তত একবার অ্যালমন্ড খাবার উপদেশ দিতেন। এমনকি, ২০০ টিরও বেশি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এই উপদেশকেই সমর্থন জানানো হয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যালমন্ডের স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক, যা সামগ্রিক সুস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।এই বিশেষ উদযাপনকে আরো স্মরণীয় করে তুলতে ম্যাক্স হেলথকেয়ার – নয়াদিল্লির ডায়েটেটিক্সের আঞ্চলিক প্রধান ঋতিকা সমাদ্দার প্রতিদিনের ডায়েটে অ্যালমন্ড যোগ পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন যে এই বাদামটি ম্যাগনেসিয়াম, প্রোটিন, রাইবোফ্লাভিন, জিঙ্ক, ফাইবার এবং স্বাস্থ্যকর চর্বির মতোন ১৫টি অপরিহার্য পুষ্টিতে সমৃদ্ধ, যার স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। এমনকি, ICMR-NIN – ও ভারতীয়দের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অ্যালমন্ড যোগ করার পরামর্শ দিয়েছে। অ্যালমন্ড স্বাস্থ্যের পাশাপাশি ত্বককেও উজ্বল করে, কারণ এতে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বার্ধক্য রোধ করতে সহায়তা করে। ঋতিকা আরও জানান যে, বাদামটি পেশী ভরের বৃদ্ধি এবং রক্ষণাবেক্ষণেও ব্যাপক সহায়তা করে। অ্যালমন্ড, ভিটামিন বি২, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাসের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ, যা খাদ্যকে শক্তিতে রূপান্তরিত করতে, শারীরিক কার্যকলাপ এবং শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
অ্যালমন্ড একটি পুষ্টিকর খাবার যা ওজন নিয়ন্ত্রণে, কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে। এটি কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার থেকে রক্তে শর্করার বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। এমনকি এটি উপবাসের সময় ইনসুলিনের মাত্রাকে উন্নত করে। পুষ্টির শক্তিশালী মিশ্রণের ফলে, FSSAI – ও প্রতিদিনের ডায়েটে নিয়মিত অ্যালমন্ড খাওয়ার পরমর্শ দিয়েছে, কারণ এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সামগ্রিকভাবে, বাদাম সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য একটি স্মার্ট পছন্দ।