হিন্দুস্তান জিঙ্ক লিমিটেড, বেদান্ত গ্রুপের একটি অংশ, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং ভারতের বৃহত্তম জিঙ্ক এবং রৌপ্য উৎপাদনকারী কোম্পানি, এশিয়াতে প্রথম তার কম-কার্বন ‘গ্রিন’ জিঙ্ক ব্র্যান্ডের অধীনে ইকোজেন (EcoZen) চালু করেছে। S&P গ্লোবাল CSA অনুযায়ী এই কোম্পানি, বিশ্বের সবচেয়ে টেকসই ধাতু ও খনির কোম্পানি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। কোম্পানি একটি লাইফ সাইকেল অ্যাসেসমেন্ট (LCA) এর মাধ্যমে ইকোজেনকে কম-কার্বন জিঙ্ক হিসেবে গণ্য করেছে, যার প্রতি টন জিঙ্কে এক টন কার্বন ফুটপ্রিন্ট রয়েছে।
পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি থেকে তৈরী এই ইকোজেনের কার্বন ফুটপ্রিন্টের পরিমান বিশ্বব্যাপী গড় থেকে প্রায় ৭৫% পর্যন্ত কম। স্টিলের গ্যালভানাইজেশনের ক্ষেত্রে জিঙ্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ, পাশাপাশি, এটি বিশ্বব্যাপী শক্তি পরিবর্তনের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারতে ৭৫% মার্কেট শেয়ার সহ, হিন্দুস্তান জিঙ্ক একটি প্রত্যয়িত ২.৪১ গুণ ওয়াটার-পজিটিভ কোম্পানি যা ২০৫০ সালের মধ্যে নেট জিরো নির্গমনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এছাড়া, কোম্পানিটি তার ৪৫০ মেগাওয়াট পাওয়ার ডেলিভারি চুক্তির অংশ হিসাবে চব্বিশ ঘন্টা নবায়নযোগ্য শক্তি গ্রহণ করা শুরু করেছে এবং ২০২০ সাল থেকে FY24-এ তার গ্রিনহাউস গ্যাস (GHG) নির্গমনের তীব্রতা ১৪% হারে কমিয়েছে। গ্রাহক সন্তুষ্টির প্রতি প্রতিশ্রুতির সাথে হিন্দুস্তান জিঙ্ক, একটি নেতৃস্থানীয় জিঙ্ক পোর্টফোলিওর একটি পরিসর অফার করে, যা বর্তমানে ৪০ টিরও বেশি দেশে সরবরাহ করা হচ্ছে।
বেদান্ত গ্রুপের নন-এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এবং হিন্দুস্তান জিঙ্ক-এর চেয়ারপারসন প্রিয়া আগরওয়াল হেব্বার জানিয়েছেন, “বেদান্তের হিন্দুস্তান জিঙ্ক, S&P গ্লোবাল কর্পোরেট সাসটেইনেবিলিটি অ্যাসেসমেন্টে #1 স্থান অর্জন করেছে, যার লক্ষ্য ব্যবসায়িক সিদ্ধান্তে স্থায়িত্ব আনা। EcoZen-এর লঞ্চের মাধ্যমে আমরা ২০৫০ সালের মধ্যে নেট জিরোতে পরিণত হব এবং বৈশ্বিক ESG বেঞ্চমার্ক স্থাপন করে প্রাকৃতিক সম্পদ শিল্পে বিপ্লব ঘটাবো।”