ওষুধ না খেয়েও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন করার ঘরোয়া উপায়

ভারতের মতো নিম্ম আয়ের দেশে এই ঘাতক অসুখের ঘাত-প্রতিঘাত অনেকটাই বেশি। তাই তো বিশেষজ্ঞদের একাংশ ভারতকে ডায়াবিটিসের রাজধানী বলতেও পিছপা হন না! গত ২০-৩০ বছরে ডায়াবিটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়েছে।

মুশকিল হল এই রোগকে সঠিক সময়ে  কন্ট্রোল না করলে একাধিক জটিল অসুখের খপ্পরে পড়তে হয়। আর এই তালিকায় করোনারি আর্টারি ডিজিজ, নিউরোপ্যাথি, নেফ্রোপ্যাথির মতো অসুখও রয়েছে। তাই যেভাবেই হোক সুগার নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। যাঁরা ক্রনিক কিডনি ডিজিজে আক্রান্ত, তাঁরা কোনও মতেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া জলপান বাড়াবেন না। এতে স্বাস্থ্যের হাল বিগড়ে গেলেও যেতে পারে। ৫টি  ঘরোয়া টোটকা মেনে চললেই হার মানবে ২০০-এর উপরে থাকা সুগার।  

কিন্তু সুগার কন্ট্রোল খুব সহজ কাজ নয়। এমনকি শুধু ওষুধ খেয়েও এই রোগকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবেন না। বরং এই অসুখকে কন্ট্রোলে রাখতে চাইলে ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি এই কয়েকটি টোটকার উপরেও ভরসা রাখতে হবে। সেগুলো হল-  ১) ব্যায়াম ইজ মাস্ট,ডায়াবিটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখার সবথেকে কার্যকরী অস্ত্র হল ব্যায়াম। নিয়মিত মাত্র ৩০ মিনিট ব্যায়াম করলেই উপকার মিলবে। ২) কার্বোহাইড্রেট হল আমাদের শরীরের প্রধান জ্বালানি। এই খাদ্য উপাদানের সাহায্যেই দেহে এনার্জির ঘাটতি মেটে। তাই তো সুস্থ-সবল জীবনযাপন করার ইচ্ছে থাকলে কার্ব জাতীয় খাবার খেতেই হবে। ৩)ফাইবার যুক্ত খাদ্য সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সিদ্ধহস্ত। তাই যেন তেন প্রকারেণ পাতে ফাইবার যুক্ত খাবার রাখার পরামর্শ দিচ্ছে হেলথলাইন। সুতরাং নীরোগ জীবন কাটানোর ইচ্ছে থাকলে মরশুমি ফল, শাক ও সবজি বেশি পরিমাণে খান। ৪) প্রত্যেক ডায়াবিটিস রোগীর দিনে অন্তত ২ থেকে ৩ লিটার জলপান করা উচিত। এই কাজটা করতে পারলেই কিন্তু একাধিক উপকার মিলবে। এমনকী রক্তে মজুত থাকা অতিরিক্ত সুগার মূত্রের মাধ্যমে দেহের বাইরে বেরিয়ে যাবে। মিলবে সুস্থ-সবল জীবন। ৫) ওজন স্বাভাবিকের গণ্ডি পেরিয়ে গেলে ইনসুলিন হরমোন ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। ফলস্বরূপ রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ঊর্ধ্বমুখী হয়। তাই সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেই হবে। তাই আর দেরি না করে শুভ কাজে যত দ্রুত সম্ভব লেগে পড়ুন।