আসন্ন ঈদ-উল-আযহা (বকরিদ) উপলক্ষে জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজার থানার উদ্যোগে সম্প্রতি এক গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় থানার কনফারেন্স হলে। ঈদের দিন জননিরাপত্তা বজায় রাখা, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য অক্ষুন্ন রাখা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশ বজায় রাখার উদ্দেশ্যে এই বৈঠকে নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মালবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত আইসি সৌমজিত মল্লিক, মাল ব্লকের জয়েন্ট বিডিও মোহাম্মদ তৌফিক আলম, মাল পৌরসভার চেয়ারম্যান উৎপল ভাদুরি, এবং মাল ব্লক মসজিদ কমিটির সভাপতি, সম্পাদক সহ একাধিক প্রতিনিধি। ঈদের নামাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করা, যানজট ও ভিড় নিয়ন্ত্রণ, এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি পশু কোরবানি নিয়েও বিশেষভাবে আলোচনা হয়।
মালবাজার থানার আইসি সৌমজিত মল্লিক বৈঠকে স্পষ্ট করে জানান, “পশু কোরবানি যেন পুরোপুরি সংবেদনশীলতা বজায় রেখে সম্পন্ন হয়। জনসমক্ষে কোরবানি না করে নির্দিষ্ট ও নিরাপদ স্থানে করা উচিত। এছাড়া কোরবানির মাংস বিতরণ করতেও যতটা সম্ভব সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে, যাতে অন্য কোনো ধর্মের মানুষের অনুভূতিতে আঘাত না লাগে।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা চাই সবাই ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করুন, তবে সেই সঙ্গে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যও বজায় থাকুক। পশুর আত্মীয় বাড়িতে মাংস বিতরণের ক্ষেত্রেও সেই সংবেদনশীলতা বজায় রাখা উচিত।” মসজিদ কমিটির প্রতিনিধিরাও প্রশাসনের এই দিকনির্দেশনার প্রতি সহমত পোষণ করে বলেন, “আমরাও চাই ঈদ উৎসব হোক সৌহার্দ্যপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ। প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে চলব।”
এই বৈঠকে আরও জানানো হয়, ঈদের দিন ভোর থেকেই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন, সিসিটিভি নজরদারি, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ এবং জরুরি হেল্পলাইন চালুর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনের এমন সতর্ক ও সংবেদনশীল পদক্ষেপ এলাকায় প্রশংসিত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা আশাবাদী, এই ধরনের সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমেই শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ ঈদ উদযাপন সম্ভব হবে।