আর্থিক দুর্নীতির মামলায় দেবাশিস ও সঞ্জয়-র নাম

আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ সোমবার সকালে আবার সিবিআই অফিসে হাজির হন। তিনি সিজিও কমপ্লেক্সে যান। অফিসে পৌঁছেছেন সিবিআই আধিকারিকরাও। দশম দিনে সিবিআই অফিসে হাজির হন সন্দীপ। আরজি কর হাসপাতালের ফরেনসিক অফিসার দেবাশিস সোম এবং প্রাক্তন সুপারিনটেনডেন্ট সঞ্জয় বশিষ্ঠও সোমবার সিবিআই অফিসে হাজির হন। রবিবার তাদের বাড়িতে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি। সোমবার তাদের নিজাম প্রাসাদে তলব করা হয়। দেবাশিস সেখানে হাজিরা দিয়েছেন।

আরজি কর হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গত শুক্রবার থেকে সন্দীপকে জেরা করছে সিবিআই। প্রতিদিন সকালে তাকে সিজিও কমপ্লেক্সে আসতে দেখা যায়, এবং রাতে বাড়ি ফেরেন সন্দীপ। গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনও কথা বলেননি তিনি। শনিবার পর্যন্ত হাজিরার পর রবিবার আর সিজিওতে যাননি সন্দীপ। রবিবার ভোরে বেলেঘাটায় তাঁর বাড়িতে পৌঁছায় সিবিআই। বাড়ির বাইরে থেকে চিৎকারের বেশ কিছুক্ষণ পর সন্দীপ দরজা খুলে দিল। এরপর দীর্ঘদিন ধরে তার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। আরজি করে আর্থিক দুর্নীতির মামলায় সন্দীপের নাম উল্লেখ রয়েছে। সেই তদন্তের ভিত্তিতে রবিবার তার বাড়িতে অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। সোমবার সিজিওতে তার হাজিরা ছিল ধর্ষণ-খুন মামলায়। তবে আর্থিক অনিয়মের মামলায় হাজিরা দেন দেবাশিস ও সঞ্জয়।

সিবিআই সূত্রে খবর, রবিবার আর্থিক অনিয়মের ঘটনায় যাদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে, তাদের ধাপে ধাপে সিবিআই অফিসে তলব করা হয়েছে। আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক অনিয়মের একাধিক অভিযোগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন প্রাক্তন অতিরিক্ত সুপার আখতার আলি৷ শনিবার সেই মামলায় এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই। রোববার সকাল থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়। সকাল সাড়ে সাতটায় সন্দীপের বাড়িতে পৌঁছায় সিবিআইয়ের একটি দল। ডাকাডাকি করার পর রাত ৮টার মধ্যে তারা ভিতরে প্রবেশ করতে পারে। রাতে বেলেঘাটার বাড়ি থেকে যায় সিবিআই। রবিবার সকালে ফরেনসিক অফিসার দেবাশিসের কেষ্টপুরের বাড়িতেও যায় সিবিআই। কয়েক ঘণ্টা ধরে সেখানে তল্লাশি চালানো হয়। আর্থিক অনিয়মের অভিযোগেও নাম রয়েছে দেবাশিসের। রবিবার এন্টালিতে প্রাক্তন সুপার সঞ্জয়ের বাড়িতে অভিযান চালায় সিবিআই। বিকেলে তাকে অন্য বাড়িতে নিয়ে যান গোয়েন্দারা। দুই জায়গায়তেই তল্লাশি চলছে সিবিআই-র।