বিদেশের বাজারে সমাদৃত হচ্ছে জলপাইগুড়িতে তৈরি বেতের আসবাবপত্র

ভারতে কদর কমলেও জলপাইগুড়ির বেতের আসবাবপত্রের চাহিদা তুঙ্গে বিদেশে। আমেরিকা, কানাডা সহ ইউরোপে পাড়ি দিচ্ছে বেতের তৈরি চেয়ার, টেবিল, মোড়া, লাইট স্ট্যান্ড সহ বিভিন্ন আসবাবপত্র। লক ডাউনে কাজ হারানো বেত শিল্পীরাও এতে আয়ের মুখ দেখছে। ফলে পূজার মুখে জলপাইগুড়িতে বেতের কারিগরদের তৎপরতা তুঙ্গে। জলপাইগুড়ি বরাবরই বেতের আসবাবপত্রের জন্য সুনাম রয়েছে। বেশ কিছু দোকানদার আসবাবপত্র স্থানীয় এলাকা সহ ভারতে বিক্রি করছে। আবার কেউ কেউ বিদেশেও রপ্তানি শুরু করেছে বেতের তৈরি আসবাবপত্র। এতেই ব্যাপক সাড়াও পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে জলপাইগুড়ি থেকে কলকতা হয়ে আমেরিকা, কানাডা সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাড়ি দিচ্ছে বেতের তৈরি আসবাবপত্র। এতে যেমন ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছে। তেমনি বেতের সঙ্গে যুক্ত শিল্পীরাও কাজ ফিরে পাচ্ছেন।

করোনা পরিস্থিতিতে লক ডাউনের সময় অনেক বেত শিল্পী কাজ হারিয়ে ভিন্ন পেশা অবলম্বন করেছে। কেউ টোটো চালিয়েছে। ২০২১ সালে প্রথম বিদেশে রপ্তানি হয় জলপাইগুড়ির বেতের আসবাবপত্র। তারপর আর ফিরে দেখতে হয়নি বেত শিল্পীদের। ধীরে ধীরে তারা কাজে ফিরেছেন।

জলপাইগুড়ির প্রসেনজিৎ কর্মকার নামে এক রপ্তানিকারক জানান, ভারতে বেতের তৈরি আসবাবপত্রের দাম তেমন পাওয়া যায় না। বিদেশে চাহিদা থাকায় দাম বেশী পাওয়া যায় এতে শিল্পীদের বেশী পারিশ্রমিক দেওয়া যায়। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের অধ্যাসিত দেশ গুলিতে ডিসেম্বরে এই বেতের আসবাবপত্রের চাহিদা বেশী থাকে। সেই মত এখন থেকেই বেশী করে আসবাবপত্র তৈরি করে পাঠানো হচ্ছে। পূজার মুখে বেতের শিল্পীরা বেশী কাজ করে বেশী পারিশ্রমিক পাচ্ছে এতে পূজার মুখে খুশি বিশ্বজিৎ দাস, প্রশান্ত দাসের মত বেত শিল্পীরা।
বিশ্বজিৎ দাস বলেন,’একটা সময় কাজ ছিল না। খুবই কষ্ঠ করে জীবন কাটাতে হয়েছে৷ আমাদের তৈরি বেতের আসবাবপত্র বিদেশে রপ্তানি হতেই আমাদের সুদিন ফিরে আসে।’