২০২৩ অর্থবর্ষে পশ্চিমবঙ্গে টাটা মোটর্স ক্রমাগত বৃদ্ধি ঘটিয়ে ইভি মার্কেটের ৯০% নিজেদের দখলে নিয়ে এসেছে। গ্রামীণ এলাকায় গ্রহণযোগ্যতায় ১৩% বৃদ্ধি ঘটেছে (এপ্রিল ২০২৩)। এই সাফল্যের কারণ – ইভি সম্পর্কে সচেতনতার বৃদ্ধি, চার্জিং পরিকাঠামোর প্রসার এবং বিভিন্ন শহর ও হাইওয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রায় ১৩৪টি চার্জিং স্টেশন স্থাপন। এছাড়া, রাজ্যে ৫৫টি সেলস আউটলেট ও ১১টি টাটা অথরাইজড সার্ভিস সেটআপের নেটওয়ার্কও অন্যতম কারণ।
টাটা মোটর্সের পোর্টফোলিওতে নতুন সংযোজন টিয়াগো.ইভি (Tiago.ev) ইভি’কে আরও সর্বজনীন করে তুলেছে এবং দেশের নতুন নতুন শহরেও সাড়া জাগিয়েছে। টিয়াগো ব্র্যান্ডের বিক্রয়ের ৩৫%-এরও বেশির দাবিদার টিয়াগো.ইভি। টাটা মোটর্স সম্প্রতি নেক্সন ইভি ম্যাক্স এক্সজেড+ লাক্স-এর (Nexon EV MAX XZ+ LUX) আপগ্রেড ঘটিয়েছে এতে সুপিরিয়র ও হাই-টেক ফিচার যুক্ত করে। জিপট্রন টেকনোলজি (Ziptron technology) ব্যবহার করে নির্মিত নেক্সন ইভি (Nexon EV) ৫০০০০ ইউনিট সেলস মার্কের কাছে পৌঁছে গেছে। নেক্সন ইভি হল ভারতের নাম্বার-ওয়ান ইলেক্ট্রিক ভেহিকেল (India’s #1 electric vehicle), যার দখলে রয়েছে ‘ফাস্টেস্ট ইভি টু কমপ্লিট দ্য কাশ্মীর টু কন্যাকুমারী ৪০০কিমি ইন আন্ডার ফোর ডেজ’ (Fastest EV to complete the Kashmir to Kanyakumari, 4000km in under 4 days) রেকর্ড-সহ ২৬টি রেকর্ড। নেক্সন ব্র্যান্ড সেলের ১৫%-এরও বেশি সম্ভব হয়েছে নেক্সন ইভি’র কারণে।ভারতে ইভি মার্কেটে গতিবৃদ্ধির লক্ষ্যে টাটা মোটর্স একটি ‘হোলিস্টিক ই-মোবিলিটি ইকোসিস্টেম’ (holistic e-mobility ecosystem) চালু করেছে – ‘টাটা ইউনিইভার্স’ (Tata uniEVerse), যাতে একটি গ্রহণযোগ্য ইভি পরিমন্ডল (viable EV environment) তৈরি করা যায়। ‘টাটা ইউনিইভার্স’ ব্যবহার করে গ্রাহকরা একগুচ্ছ ই-মোবিলিটি সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন, যেমন ‘চার্জিং সলিউশনস’, ‘ইনোভেটিভ রিটেল এক্সপিরিয়েন্স’ ও ‘ইজি ফাইনান্সিং অপশন্স’।