জলপাইগুড়ি:- ক্রমেই হারাচ্ছে করলার সৌন্দর্য!রাত হলেই অন্ধকারে ডুবে যায় জলপাইগুড়ির বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গন সংলগ্ন এলাকা! বিপন্ন জলপাইগুড়িবাসীর প্রিয় ‘এ্যালে’। করলা নদীর সেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং যে শীতল বাতাস মুগ্ধ করে তোলে সবাইকে…সেখানেই এখন বাঁধ সাধছে অন্ধকার, নোংরা পরিবেশ। করলার বুকে একদিকে শহরের জমা আবর্জনার ঢিপি, গাছপালা থাকলেও আবর্জনার জন্য হাওয়া দিলেও পরিষ্কার বাতাসের বদলে এলাকা জুড়ে ছড়ায় দুর্গন্ধ। শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন দপ্তরের তরফে করলার দু’পাশ সাজানো হয়েছিল খানিকটা বিদেশী কায়দায়।
ছিল বসার জায়গা, রোদ থেকে বাঁচার জন্য ছিল সাজানো ভিন্ন আকারের ছাউনি, রাতের বেলায় করলার সৌন্দর্য ছড়াতে সেই এলাকায় লাগানো হয়েছিল বিদেশী ধরনের বৈদ্যুতিক আলো। কিন্তু সে সবে এখন জং পড়ছে। আগে বিকেল হলেই এই ‘এ্যালে’তে ভিড় হতো ৮ থেকে ৮০ সকলের। করলার স্নিগ্ধ বাতাসে মনমুগ্ধ হতো জলপাইগুড়িবাসীর।রাজবাড়ী পার্ক, স্পার ছাড়াও আরও একটি নতুন জনপ্রিয় জায়গা হয়ে উঠেছিল এই ‘এ্যালে’। কিন্তু ক্রমেই শহরেরই কিছু দুষ্কৃতিদের কু-কর্মের জন্য সেই লাইট গুলিও এখন আর নেই।
রাত বাড়লেই সেখানে বসে অসামাজিক কাজের আখড়া। কাজেই সেভাবে সেখানে আর বয়স্ক কিংবা বাচ্চাদের দেখা মেলে না। যদিও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মাঝে মাঝেই যখন তখন পুলিশি অভিযান চলে এলাকায়। কিন্তু সেই এলাকার সংস্কার আর হয় না। এলাকাবাসীদের দাবি, প্রশাসনের তরফে ফের এই এলাকা সংস্কার করা হোক। অন্তত লাইট লাগানো হোক।অন্যদিকে, জেলা পরিষদের তরফে বারংবার জেলাবাসীকে সতর্ক করা হয় যাতে নোংরা আবর্জনা করলার বুকে না ফেলা হয়। কিন্তু কোথাও গিয়ে হয়তো অসচেতন জনগণের জন্যেই ধুঁকছে করলা। কবে অ্যালি তার সৌন্দর্যতা ফিরে পায় সেই প্রশ্ন থেকেই যায়।