আরজি কর মামলায় দোষী সঞ্জয় রায়ের ফাঁসির সাজা চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করল রাজ্য সরকার। বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। মামলা দায়ের করার অনুমতি দেন বিচারপতি। বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা। কালই শুনানির সম্ভাবনা। গতকাল আরজি কর কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়ের সাজা ঘোষণা করেন শিয়ালদহ কোর্টের বিচারক অনির্বাণ দাস। মৃত্যুদণ্ডের বদলে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় যাবজ্জীবন সাজার ঘোষণা করেন তিনি। সঙ্গে ক্ষতিপূরণ। যদিও সিবিআই দাবি জানিয়েছিল ফাঁসির।
যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণার পরই রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মমতা স্পষ্ট জানান, ‘আমি রায়ে সন্তুষ্ট নই’ সিবিআইকে বিঁধে মমতা আরও বলেন, ‘আমরা প্রথমদিন থেকেই ফাঁসির দাবি করে এসেছিলাম। এবং আজও আমরা সেই দাবিতেই অনড়। কিন্তু আদালতের রায় নিয়ে সেই বিষয়ে কী বলবেন জানিনা। আমার দলের কথা বলতে পারি। আমরা তিনটে কেসে ৫৪ দিন থেকে ৬০ দিনের মধ্যে আমরা ফাঁসি অর্ডার করিয়ে দিয়েছি। আমরা এটাই বলেছিলাম। আমাদের হাতে মামলা থাকলে অনেক আগেই ফাঁসির অর্ডার করিয়ে দিতাম। আমাদের হাত থেকে কেসটা ইচ্ছা করে নিয়ে নেওয়া হল।’
প্রসঙ্গত, গতকালই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিম্ন আদালতের রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে ফাঁসির সাজার দাবিতে হাইকোর্টে যাওয়ার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। সঞ্জয়ের অপরাধকে বিরল থেকে বিরলতম বলে মানতে নারাজ বিচারক। আর এখানেই অবাক মুখ্যমন্ত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, আর জি করের ঘটনা বিরলতম ঘটনা। কিন্তু কেন এটিকে কোর্ট বিরলতম ঘটনা বলে মনে করল না, তা নিয়ে তিনি হতাশা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি ওই রায়ের বিরুদ্ধে এবং দোষীর মৃত্যদণ্ডের দাবিতে রাজ্য সরকার উচ্চ আদালতে যাবে বলেও জানান। এরপরই এদিন সঞ্জয় রায়ের সর্বোচ্চ সাজার আবেদন নিয়ে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ রাজ্য সরকার।