ভারতে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে বেড়ে ওঠা হাইপার ভ্যালু ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম হল ফ্লিপকার্ট। ফ্লিপকার্টের অধীন সংস্থা শপসির বিশাল শপিং কার্নিভাল, যার নাম ছিল দ্য গ্র্যান্ড শপসি মেলা, তার তৃতীয় পর্ব সম্প্রতি শেষ হয়েছে। এই কেনাকাটার পর্বে শপসি লক্ষ্য করেছে যে, এখানে ভারত থেকে অনেক বেশি লোক অংশ নিয়েছে এবং সারা দেশের স্থানীয় বিক্রেতারা এই কেনাকাটা পর্বে জড়ো হয়েছিলেন লক্ষ লক্ষ ক্রেতার চাহিদা মেটাতে। টিয়ার ২+ শহরের ক্রেতারা এই কার্নিভ্যালে কিনেছেন ফ্যাশনের পোশাক, গৃহস্থালির দরকারি জিনিসপত্র, সৌন্দর্যচর্চার প্রোডাক্ট এবং বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম। এর ফলে লক্ষ লক্ষ আঞ্চলিক বিক্রেতার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এরই পাশাপাশি, ফ্লিপকার্টের দ্য বিগ বিলিয়ন ডেজ ২০২৩-এ শপসি নিয়ে আসবে, বিশেষ করে টিয়ার ২ থেকে টিয়ার ৪ এর বাজারের গ্রাহকদের জন্য, উপযুক্ত মূল্যভিত্তিক পণ্যের বিশাল সমাহার।
১২ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর, ৬দিনের এই কার্নিভ্যালে সারা দেশের ক্রেতারা বড়সড় কেনাকাটা করেছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে টিয়ার ২ ও টিয়ার ৩এর বাজারে, এবং এই কেনাকাটা হয়েছে উৎসবের মরশুমের প্রস্তুতি হিসাবে। এই সময়পর্বে শপসি-তে ক্রেতার সংখ্যা বেড়েছে ২ গুণ, যাদের মধ্যে আবার৪০%ইছিলেন ই কমার্সের বাজারে প্রথম ক্রেতা। এই বিক্রির পর্বে সবচেয়ে বেশি অর্ডার এসেছে যেসব রাজ্য থেকে তার মধ্যে পড়ে উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও মহারাষ্ট্র।এবং এই কেনাকাটার বাজারে ৬০%এর বেশি ক্রেতা এসেছেন সারা দেশের টিয়ার ৩+ শহরগুলি থেকে।
কপিল থিরানি, হেড অফ শপসি, ফ্লিপকার্ট বলেন: ‘উৎসবের মরশুম শুরু হয়ে গেছে। গ্র্যান্ড শপসি মেলার তৃতীয় পর্বে সারা দেশের ক্রেতাদের কাছ থেকে আমরা যে বিপুল সাড়া পেয়েছি, বিশেষত টিয়ার ২+অঞ্চলগুলি থেকে, তাতে আমরা আপ্লুত। বিরাট সংখ্যক বিক্রেতাদের একটা নেটওয়ার্ককে সুসমন্বিত করে, উপযুক্ত মূল্যমানের পণ্য হাজির করে এবং সাধ্যায়ত্ত দামে তা বিক্রির ব্যবস্থা করে, আমরা আমাদের ক্রেতাদের যথার্থ মূল্য হাসিলের ব্যবস্থা করেছি। ই কমার্সের গণতান্ত্রিকীরণের মাধ্যমে আমরা চাইছি ভারতের ক্রেতা ও বিক্রেতাদের ক্ষমতায়ন ঘটাতে। এই বিষয় সংক্রান্ত পুরো বাস্তুতন্ত্রের মানোন্নয়ন করতে চাই আমরা। এই প্রচেষ্টার ফলে হাজার হাজার বিক্রেতা, যাঁরা বাড়িতে কিংবা নিজের এলাকাতেই পণ্য তৈরি করেন, দেশজুড়ে তাঁদের অর্থনৈতিক উন্নতি হবে এবং একইসঙ্গেক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া যাবে অপার আনন্দের এক অনুভূতি। ’ মূল্যমানে বিশ্বাসী এবং নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম হিসাবে শপসির লক্ষ্য হল, ক্রেতাদের কাছে সাধ্যায়ত্ত দামে বিপুল বৈচিত্রসম্পন্ন পণ্যের সম্ভার হাজির করার কাজ চালিয়ে যাওয়া। শপসির প্রতিশ্রুতি হল এমন একটা গোষ্ঠী গড়ে তোলা যাদের কাছে এদেশের বাণিজ্যের ক্ষেত্রটি হবে অন্যদের সঙ্গে সমান তালে পাল্লা দিয়ে বিক্রি ও কেনাকাটা করার উপযোগী। এই প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করার চেষ্টা শপসি চালিয়ে যাচ্ছে। জুলাই ২০২১ এ শপসি তার যাত্রার সূচনা করে। সেই থেকেই শপসির লক্ষ্য থেকেছে, একটি কমিশনহীন মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে। জিডিটাল বাণিজ্যকে সারা ভারতজুড়ে সহজলভ্য করে তোলা। এখন শপসি সারা দেশের ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেয় ১৩০০+ক্যাটেগরির ১৬০ মিলিয়নেরও বেশি পণ্য।