পোলিও সচেতনতা বাড়াতে ভ্যাকসিনেশনের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন ডাঃ দেব কুমার মুখোপাধ্যায়

মেঘালয়ে সাম্প্রতিক পোলিও কেস পোলিওমাইলাইটিসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সতর্কতার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে, এটি ভারতের জন্য একটি গুরুতর রিমান্ডার। এটি একটি অত্যন্ত সংক্রামক রোগ যা প্রায়শই পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের প্রভাবিত করে, যা পক্ষাঘাত এবং মৃত্যুর দিকে পরিচালিত করে।  এই বিষয়ে ডাঃ দেব কুমার মুখোপাধ্যায়, নারায়ণ মেমোরিয়াল হাসপাতাল এবং কলকাতার দক্ষিণ শহরতলির ক্লিনিকের সিনিয়র কনসালটেন্ট, বলেছেন, “টিকাদান হল পোলিওর বিরুদ্ধে একটি প্রাথমিক প্রতিরক্ষা, পোলিও ভ্যাকসিন (আইপিভি) শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে এবং সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা বজায় রাখতে সাহায্য করে। আমাদের সম্প্রদায়গুলিকে সুরক্ষিত রাখতে অভিভাবকদের অবশ্যই টিকাদানের সময়সূচী মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ।”

ভারত ১২ বছরের পোলিও-মুক্ত থাকার এক উল্লেখযোগ্য নজির গড়েছে ব্যাপক টিকাদান অভিযানের মাধ্যমে। ডব্লিউএইচও-এর মতে, ভারতে চার বছরের মধ্যে ১৭২ মিলিয়ন শিশুকে প্রায় ১ বিলিয়ন ডোজ টিকা প্রদান করে। এটি লক্ষ লক্ষ শিশুদের জীবন রক্ষা করতে সাহায্য করেছে। এই বিষয়ে ডঃ মুখোপাধ্যায় আরও জোর দিয়ে বলেন, “ভারতের পোলিও-মুক্ত অবস্থাটি সত্যি উল্লেখযোগ্য, তবে ভাইরাসটি এখনও বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে আছে, যা একটি গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করেছে। উচ্চ টিকা কভারেজ বজায় রাখা এটি প্রতিরোধ করার একমাত্র উপায়।”

এমনকি ইন্ডিয়ান অ্যাকাডেমি অফ পেডিয়াট্রিক্স অ্যাডভাইজরি কমিটি অন ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন প্র্যাকটিস (IAP ACVIP) নির্ধারিত টিকাদানের সময়সূচী মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে। ডাঃ মুখোপাধ্যায় যোগ করে বলেন, “পোলিও টিকা ভারতের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি প্রতিরোধযোগ্য রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করে। উচ্চ টিকা প্রদানের হার বজায় রেখে এবং জনস্বাস্থ্য উদ্যোগকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে, ভারত পোলিওর বিরুদ্ধে তার প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করতে পারে এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি পোলিও-মুক্ত বিশ্ব নিশ্চিত করতে পারে।”