২০২৩ সালের অগাস্ট মাসে ইক্যুইটি মিউচুয়াল ফান্ডগুলিতে মোট বিনিয়োগ হয়েছে ২০,২৪৫.২৬ কোটি টাকা। অ্যাসোসিয়েশন অফ মিউচুয়াল ফান্ডস ইন ইন্ডিয়ার (এএমএফআই) তথ্য অনুযায়ী, ইকুইটি মিউচুয়াল ফান্ড ক্যাটাগরির স্মল-ক্যাপ ফান্ড ক্যাটাগরিতে ৪,২৬৪.৮২ কোটি টাকা, সেক্টরাল/থিমেটিক ফান্ডে ৪,৮০৫.৮১ কোটি টাকা এবং মাল্টি-ক্যাপ ক্যাটাগরিতে ৩,৪২২.১৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের বিনিয়োগকারীরা নন-ইক্যুইটির চেয়ে ইক্যুইটি মিউচুয়াল ফান্ডের প্রতি তাদের প্রবণতা দেখিয়েছেন। ২০২৩ সালের অগাস্ট পর্যন্ত, পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রায় ৫৩% বিনিয়োগ ইক্যুইটি স্কিমগুলিতে, ৩৪% ডেট ও লিকুইড স্কিমগুলিতে এবং ১০% ব্যালেন্সড ফান্ডে রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের বিনিয়োগকারীরা মিউচুয়াল ফান্ডে ২,৪৯,৯৬৯.৫২ কোটি টাকা জমা রেখেছেন।
পশ্চিমবঙ্গে টাটা মিউচুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগকারীরা ইক্যুইটি মিউচুয়াল ফান্ড স্কিমগুলিতে বেশিমাত্রায় আগ্রহ দেখিয়েছেন। অগাস্টের এমএফআই তথ্য জানাচ্ছে, টাটা মিউচুয়াল ফান্ডের প্রায় ৫৮% এইউএম আসে ইক্যুইটি স্কিম থেকে, ২৮% আসে ডেট ও লিকুইড স্কিম থেকে এবং ১৪% আসে পশ্চিমবঙ্গে ব্যালেন্সড স্কিম থেকে। ইক্যুইটি ক্যাটাগরির মধ্যে, টাটা ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফান্ডের মতো পরিকাঠামো তহবিলগুলির প্রতি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে প্রচুর আগ্রহ রয়েছে বলে মনে হয়, যা ইনফ্রাস্ট্রাকচার সেক্টরে বিনিয়োগকারী একটি ওপেন-এন্ডেড ইক্যুইটি স্কিম।
এপ্রসঙ্গে টাটা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের ফান্ড ম্যানেজার অভিনব শর্মা জানান, টাটা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টে তাদের লক্ষ্য হল বিনিয়োগ প্রক্রিয়া ও বিনিয়োগের জন্য সুশৃঙ্খল দৃষ্টিভঙ্গির দিকে। সেক্টরাল ফান্ড-সহ তাদের এমএফ স্কিমগুলিতে বিনিয়োগের জন্য তারা ‘গ্রোথ অ্যাট রিজনেবল প্রাইস’ (জিএআরপি) পদ্ধতি গ্রহণকরেন। জিএআরপি পদ্ধতি তাদের উচ্চমানের শেয়ারগুলিতে লগ্নি করতে অনুমতি দেয় এবং একইসঙ্গে নিশ্চিত করে যে মানসম্পন্ন শেয়ারগুলি যেন যুক্তিসঙ্গত মূল্যে ক্রয় করা হয়। তারা মনে করেন যে বিস্তৃত বাজারে এই মুহূর্তে একাধিক সুযোগ থাকতে পারে যা শক্তিশালী বৃদ্ধির পাশাপাশি রি-রেটিং দেখাতে পারে। টাটা ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফান্ডে তারা সেগুলি অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করছেন। টাটা ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফান্ডের ক্যাপিটাল গুডস ও ইঞ্জিনিয়ারিং, সিমেন্ট, পাওয়ার ইউটিলিটিস, লজিস্টিক্স এবং রেসিডেন্সিয়াল রিয়েল এস্টেটের মতো ক্ষেত্রগুলিতে অবস্থান রয়েছে যা ক্যাপেক্স সাইকেলের উত্থান ও লং-টার্ম ট্রেন্ডস থেকে ব্যাপকভাবে উপকৃত হতে চলেছে। তাদের পোর্টফোলিও ‘ওয়েল ব্যালান্সড’ এবং ‘গুড মিক্স অফ কোয়ালিটি কোম্পানিজ অ্যান্ড রি-রেটিং ক্যান্ডিডেটস’ বলে উল্লেখ করেন তিনি।