রাজ্যে জুড়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় পরিস্থিতি। প্রকাশ্যে এসেছে একের পর এক তথ্য, নাম জড়িয়েছে একাধিকের। এই পরিস্থিতিতে অয়ন শীলএই নামটা নিয়েই এখন মনে হয় সবথেকে বেশি চর্চা। নিয়োগ কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া এই অয়নের কাছ থেকেই প্রায় ৪০০ আসল ওএমআর সিট উদ্ধার করা হয়েছে। এই ইস্যুতে আরও বিস্ফোরক দাবি করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তাদের দাবি, প্রাথমিকে প্রায় ১০০ কোটির চাকরি বিক্রি করেছেন এই অয়ন।
ব্যাঙ্কশাল আদালতে কুন্তলের বিরুদ্ধে ১০৪ পাতার চার্জশিট জমা দিয়েছে ইডি। তাতে ইডি জানিয়েছে, ২০১২ ও ২০১৪ সালের টেটে প্রায় ১০০ কোটি টাকার চাকরি বিক্রি করেছেন অয়ন এবং এর সঙ্গে জড়িত আছেন মানিক ভট্টাচার্যও। খোদ কুন্তল ঘোষ এই কথা তাদের জেরার মাধ্যমে জানিয়েছেন বলেই দাবি করছে গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা।
এতদিনের তদন্তে এও জানা গিয়েছে, এক একটি পদের চাকরির জন্য এক এক রকম দর রাখতেন অয়ন শীল। কোনও পদের জন্য ৪ লক্ষ তো, কোনও পদের জন্য ৭ লক্ষ। রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগপ্রক্রিয়া পরিচালনার বরাত পেত অয়ন শীলের সংস্থা। সেই সুযোগেই দিনের পর দিন এই দুর্নীতি করে এসেছেন তিনি যার সঙ্গে কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো নাম জড়িয়ে আছে।