পার্থ মানিক গ্রেফতারের পরেও চলতে থাকা দুর্নীতি নিয়ে একাধিক প্রশ্ন ইডির তরফে

বিগত বেশ কিছু মাস ধরেই রাজ্যে জুড়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় পরিস্থিতি। যতদিন এগিয়ে চলেছে ততই প্রকাশ্যে এসেছে একের পর এক তথ্য, নাম জড়িয়েছে একাধিকের। এই পরিস্থিতিতে জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি গতবছরই জেলে ঠাঁই হয়েছে পর্ষদের অপসারিত সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের।

এই পরিস্থিতিতে ইডির দাবি, শিক্ষক কেলেঙ্কারির সেই যুগলবন্দি চালিয়ে গিয়েছিলেন হুগলীর কুন্তল ঘোষ এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তখন জেলে, সেই অবস্থাতেও ২০২২ সালের নভেম্বরে আয়োজিত টেটের প্রার্থীদের কাছেও চাকরি বিক্রি করে গিয়েছেন কুন্তল। ইডি-র দাবি, ২০২২ সালের নভেম্বরে যে প্রাথমিক টেট হয়েছে সেই পরীক্ষারও ২৬৭ জন প্রার্থীর উত্তরপত্র পাওয়া গিয়েছে কুন্তলের ফ্ল্যাট থেকে।

২০২২ সালে চাকরি না হওয়ার সেই ২৬৭ জন প্রার্থীর কাছ থেকে আবার ২০ হাজার টাকা অগ্রিম নেন কুন্তল ও শান্তনু। ইডি সূত্রে দাবি চাকরি পাওয়ার পরে ফের সেই অযোগ্যরা প্রত্যেকে আরও এক লক্ষ ৮০ হাজার টাকা দেবেন বলেও সম্মতি জানান। পার্থ ও মানিকের গ্রেফতারির পরেও কার ইন্ধনে প্রতারণার খেলা চালিয়ে গেল কুন্তলরা সেই প্রশ্নের উত্তর পেতেই তদন্ত চালাচ্ছে ইডি।