রাজ্যে জুড়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় পরিস্থিতি। একের পর এক দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার রাজ্যের প্রাক্তনমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখন প্রেসিডেন্সি জেলের পহেলা বাইশ ওয়ার্ডের বাসিন্দা৷ তবে শান্তি নেই তাঁর৷ কখনও সহবন্দিরা তাঁকে নিয়ে হাসিমশকরা করছে, কখনও টিটকিরি দিয়ে বলছে ‘মোটা দা টুকি’৷ কখনও আবার জঙ্গি মুসা তাঁকে দেখে মল ভর্তি মগ ছুড়ে মারছে। তাঁর দুর্দশার বন্দোবস্ত করে ফেলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি)-র হস্তক্ষেপেই পার্থর সেল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে খাট, বিছানা, ইজি চেয়ার। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, ক্রমেই জেলের অন্দরে নিজের জন্য ভিআইপি বন্দোবস্ত করে ফেলেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রাতারাতি তাঁর জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল খাট, নরম বিছানা, গা এলানোর জন্য ইজি চেয়ার। জেলবন্দি নেতার এই সকল বিলাসিতা বন্ধ করতেই তৎপর হয়ে ওঠেন অফিসাররা।
শুধু বিলাসিতাই নয়, তদন্তকারীরা এও জানতে পেরেছেন যে, জেলে একাধিক বন্দির মোবাইল ফোন থেকে গোপনে নিজের ঘনিষ্ঠদের ফোন করতেন পার্থ। এই খবর তদন্তকারী অফিসারদের কানে পৌঁছতেই তাঁরা নড়েচড়ে বসেন। সংশোধনাগারে গিয়ে এই বিষয়টি সরেজমিনে খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেন৷ গত বছরের জুলাই মাসে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি-র হাতে গ্রেফতার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷