অরুণাচল প্রদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রক আইএমআই ৫.০ সম্মেলন পরিচালনা করে

অরুণাচল প্রদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ ইউএসএআইডি’র সহায়তা-প্রাপ্ত ‘মোমেন্টাম রুটিন ইমিউনাইজেশন ট্রান্সফরমেশন অ্যান্ড ইক্যুইটি প্রজেক্ট’-এর সহযোগিতায় ইন্টেন্সিফায়েড মিশন ইন্দ্রধনুষ ৫.০ (আইএমআই ৫.০) বিষয়ক একটি ‘স্টেট মিডিয়া সেন্সিটাইজেশন’ কর্মশালার আয়োজন করেছিল। এই কর্মশালায় বর্তমান সমস্যাকীর্ণ সময়ে শিশুদের টিকা দান ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদারের উপরে গুরুত্ব আরোপ করা হয়। এনএইচএম-এর এমডি মার্গে সোরা ও স্টেট ইম্যুনাইজেশন অফিসার ডঃ ডি পাদুং ছাড়াও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও সামাজিক গোষ্ঠীগুলির প্রতিনিধিবৃন্দ। উপস্থিত সকলেই ইন্টেন্সিফায়েড মিশন ইন্দ্রধনুষ ৫.০-এর সাফল্যের পক্ষে সমর্থন প্রকাশ করেন।

আইএমআই ৫.০-এর লক্ষ্য হল বাধার সম্মুখীন জনগোষ্ঠীর উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে টিকাদানের সীমাবদ্ধতাগুলি অতিক্রম করা এবং নির্ধারিত টিকাদান কার্যক্রম থেকে বাদ-দেওয়া বা বাদ-পড়া শিশুদের টিকা দেওয়ার চেষ্টা করা। এজন্য রাজ্য, জেলা ও ব্লক স্তরে ব্যাপক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে, টিকা না নেওয়া ও আংশিকভাবে টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছানোর উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এবং টিকাকরণের কর্মসূচিতে তাদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা হয়েছে। আইএমআই ৫.০-এর প্রাথমিক লক্ষ্য হল ‘০’ থেকে ‘৫’ বছর-বয়সী শিশুদের অগ্রাধিকার দেওয়া। চূড়ান্ত লক্ষ্য হল যারা কোনও ভ্যাক্সিন পায়নি তাদের এবং প্রতিটি শিশুকে জীবনদায়ী টিকাপ্রদানের আওতায় নিয়ে আসা। তাছাড়া, ৫ বছরের কম-বয়সী প্রতিটি শিশু যাতে হাম ও রুবেলা’র (এমআর) গুরুত্বপূর্ণ দুই ডোজের কর্মসূচি সম্পন্ন করে তা নিশ্চিত করে হাম ও রুবেলা নির্মূলের দেশব্যাপী প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এই উদ্যোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ইউ-উইন পোর্টালের মাধ্যমে প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার করা। এই উদ্ভাবনী প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর্মীরা কার্যকরভাবে শিশু ও গর্ভবতী মহিলাদের টিকাদানের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে সমর্থ হবেন এবং সময়োচিত ও উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারবেন।