ভারতের অখন্ডতা রক্ষায় সীমান্তে সদা জাগ্রত রয়েছে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী

ভারতের অখন্ডতা রক্ষায় সীমান্তে সদা জাগ্রত রয়েছে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী। ৫৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে নিজেদের গত একবছরে সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরলেন বিএসএফ নর্থবেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার ইন্সপেক্টর জেনারেল সূর্যকান্ত শর্মা। ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠা হলেও উত্তরবঙ্গ এই ফ্রন্টিয়ার প্রতিষ্ঠা পায় ১৯৮৮ সালে। সবচেয়ে বড় ফ্রন্টিয়ার হলেও গত একবছরে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে তাদের কাজকর্মের ধরণ অনেকটাই বেড়েছে। আধুনিক পদ্ধতি মেনে চোরাচালান ও অনুপ্রবেশ বন্ধ করা গেছে। সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই দাবি ইন্সপেক্টর জেনারেলের।

আগষ্ট মাসে বাংলাদেশে নতুন সরকার গঠনের পর থেকেও বিজিবির সঙ্গে বিএসএফের সম্পর্ক ভালো। সীমান্ত যা সমস্যা তৈরি হচ্ছে তা সমাধান করা হয়। অনুপ্রবেশ রুখতে সিসিটিভি , বায়োমেট্রিক গেট সহ উন্নত মানের যন্ত্রের সাহায্যে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক সীমানা রক্ষা করা হয়। ১০ শতাংশ কাঁটাতারহীন বেড়া থাকলেও তা সমাধান করতে কাজ হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ এলে তা রুখতে সবরকম ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

সংখ্যালঘুরা অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করলেও তা রোখা হচ্ছে। অন্যদিকে কাঁটাতারহীন এলাকায় বেড়া নিয়ে জমির কাজ চলছে এবং রাজ্য সরকার সবরকম সহযোগিতা করে।গরু পাচার রুখতে সবরকম ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের এই পরিস্থিতিতে ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় ও দিনাজপুরে সংখ্যালঘু অনুপ্রবেশের চেষ্টা বেশি করলেও অনুপ্রবেশ রুখতে সবরকম ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সীমান্তে জাল নথিপত্র রুখতে প্রশাসনের আধিকারিকদের জানানো হয়। তিনবিঘা করিডোরে অনুপ্রবেশ রুখতে সবরকম ব্যবস্থা হচ্ছে এবং জমি সংক্রান্ত সমস্যা মিটছে দাবি ইন্সপেক্টর জেনারেলের।জানুয়ারি থেকে আজ পর্যন্ত ১৯৪জন ভারতীয়, ২০৩ জন বাংলাদেশি ও ৩ রোহিঙ্গাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।