পাচার রুখতে কাটাতার বরাবর ক্যানেল খনন করেছে বিএসএফ। দিনহাটা মহকুমার করলা গ্রাম থেকে কোনামুক্তা বরাবর ক্যানেল যুক্ত হয়েছে বানিয়াদহ নদীর সাথে। এবারের বন্যায় ক্যানেল দিয়ে জল ঢুকে পার্শ্ববর্তী প্রায় কয়েকশো বিঘা কৃষি জমি তে ভাঙ্গন ধরিয়েছে। কৃষিজমি বরাবর ক্যানেলের ধারে গার্ডওয়াল তৈরী দাবি করছে ভাঙ্গন কবলিত কৃষকেরা । ক্ষুব্দ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা (farmers agitation)সোমবার জেলাশাসকের দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করবে। স্থানীয় প্রধানকে না জানিয়ে ক্যানেল তৈরি করায় ক্ষুব্ধ নয়ারহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মমতাজ বেগম। বিষয়টা তিনি দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহকে জানিয়েছেন।
এ বছরের শুরুতে দিকে করলা থেকে কোনামুক্তা অব্দি প্রায় 3 কিমি ক্যানেল খনন করে বিএসএফ। প্রায় ১৫ফুট গভীর এই ক্যানেলটি বানিয়াদহ নদীর সাথে যুক্ত করা হয়। কাঁটা তারের বেড়া থেকে কিছু দূরে এই গভীর ক্যানেল থাকায় পাচার কারীরা সহজে বিএসএফের কাছে ঘেঁষতে পারে না। দূর থেকে ঢিল ছুড়ে কাটাবার পেরিয়েও কোনো জিনিস ছুড়ে পাচার করতে পারে না ।
পাচার রুখতে ক্যানেল তৈরীর কৌশল বিএসএফের কিছুটা কাজে লাগলেও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে স্থানীয় কৃষকরা। কেননা এই চ্যানেলটি নদীর সাথে যুক্ত থাকায় এবছর বন্যায় প্রচুর পরিমাণ জল এই ক্যানেলে প্রবেশ করে। বন্যার জলের ঢেউয়ে ক্যানেলের দুই পাশে প্রচুর পরিমাণ জমি ভাঙ্গনের কবলে পড়ে।
স্থানীয়দের দাবি, প্রায় শ তিনেক বিঘা জমি ক্যানেলের জন্য ভেঙে গেছে। ক্যানেলে জল কমলে ভাঙ্গন আরো বাড়বে। অনেক চাষি ন্যূনতম তিন চার কাঠা জমি তাও ক্যানেল এর জন্য ভেঙে যাওয়ায় তারা সর্বস্বান্ত হওয়ার পথে। পাট ভুট্টা সহ সবজি ক্যানেলে কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।–
শুধু কৃষি জমির ভাঙ্গন নয়, করে ভূমির চরিত্র বদল এর কারনে বাস্তু তন্ত্রের ক্ষতি হচ্ছে। জমির আলে লাগানো গাছপালা ভেঙ্গে গেছে।
সহায়-সম্বল হারিয়ে ক্ষুদ্ধ চাষিরা আন্দোলনের (farmer agitation)হুমকি দিয়েছে। সোমবার কুচবিহারে জেলা প্রশাসকের কাছে তারা স্মারকলিপি জমা দিবে।
দিনহাটার বুড়ীমাতা মন্দিরের ইতিহাস নিয়ে বিশেষ লেখা পড়ুন।
কোনামুক্তা গ্রামের চাষি শহীদুল হক বলেন, আমরা বাধা দিলেও জোর করে আমাদের জমির পাশে ক্যানেল দিয়েছে বিএসএফ। ক্যানেলের পাশে গার্ডওয়াল তৈরীর প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। এবারের বন্যায় প্রায় চার কাঠা জমি ক্যানেলের ভেঙে গেছে। দ্রুত জমির ক্ষতিপূরণ সহ গার্ড ওয়াল তৈরীর দাবি করছি। এ নিয়ে সোমবার এবিষয়ে কোচবিহারে জেলাশাসকের দ্বারস্থ হব আমরা(farmers agitation)
গোবরাছড়া নয়ার হাট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মমতাজ বেগম বলেন, আমাকে না জানিয়ে বিএসএফকে এই ক্যানেল টি তৈরি করেছে। এবারের বন্যায় চাষীদের জমি ভেঙে গেলে আমাকে তারা অভিযোগ(farmers agitation) জানায়। আমি ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করতে গিয়ে চমকে যাই। চাষীদের প্রচুর পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় বিধায়ক এ বিষয়টি জানিয়েছি। কৃষকরা যাতে ক্ষতিপূরণ পায় প্রয়োজনের নবান্ন বিষয়টি জানাবো।