ভারতের স্বদেশী ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস ফ্লিপকার্ট, ভারতকে “খেলনা রপ্তানি কেন্দ্র” (“toy export hub”) হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে ডিপার্টমেন্ট ফর প্রমোশন অফ ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ইন্টারনাল ট্রেড (DPIIT) এর সাথে সহযোগিতা করেছে। খেলনা সরবরাহে ভারতের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এই কর্মসূচির গ্রহণ করা হয়েছে। এটি উদ্ভাবনী এবং মানসম্পন্ন খেলনা তৈরি করার জন্য ভারতীয় নির্মাতাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করার প্রতি নজর দিয়েছে, যা ভারতীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বজায় রাখবে।
সরকার এই খেলনাগুলির জন্য জাতীয় অ্যাকশন প্ল্যান (NAPT) সহ বিভিন্ন কৌশলগত উদ্যোগগুলি বাস্তবায়ন করছে, যাতে ভারতকে খেলনা উত্পাদন কেন্দ্রে পরিণত করা যায়। এই কর্মশালায় ভারতবর্ষের শত শত খেলনা প্রস্তুতকারক অংশ নিয়েছিলেন। এর মাধ্যমে খেলনা নির্মাতাদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, জ্ঞান এবং সংস্থান দিয়ে তাদের প্রতিযোগিতামূলকতা বাড়াতে এবং অনলাইনে তাদের ব্যবসা বাড়াতে বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই ইভেন্টে ডিপিআইআই-এর সচিব রাজেশ কুমার সিং সঞ্চালনা করেন, এছাড়াও এখানে উপস্থিত ছিলেন ডিপিআইআই-এর পরিচালক মোহাম্মদ ইশারার আলী, ফ্লিপকার্ট -এর হেড অফ এফএমসিজি অ্যান্ড জেনারেল মার্চেন্ডাইজ মঞ্জরি সিংগাল এবং আরও বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ। ফ্লিপকার্টের ডেটা অ্যানালিটিক্স এবং লজিস্টিক দক্ষতা নির্মাতাদের ই-কমার্স নেভিগেট করতে, বৃহত্তর গ্রাহক-বেসের কাছে পৌঁছাতে এবং টেকসই বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করবে। এই উদ্যোগ ভারতীয় খেলনা শিল্পের জন্য বৃদ্ধি এবং উদ্ভাবনের একটি নতুন যুগের সূচনা করবে।
ডিপার্টমেন্ট ফর প্রমোশন অফ ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ইন্টারনাল ট্রেড (ডিপিআইআইটি)-এর সেক্রেটারি শ্রী রাজেশ কুমার সিং জানিয়েছেন, “আমাদের কোম্পানি ইন্ডাস্ট্রি জায়ান্ট ফ্লিপকার্টের সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে ভারতীয় খেলনা সেক্টরের জন্য একটি ইতিবাচক পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য কাজ করছে। আমাদের লক্ষ্য হল ভারতকে সঠিক সমর্থন সহ মানসম্পন্ন খেলনাগুলির একটি সেরা রপ্তানিকারক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করা।”