দুর্গাপুজো শেষ। বিজয়াদশমীর আবহ কেটে যেতে না যেতেই জেলায় জেলায় কার্নিভালের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। গতকাল ছিল প্রস্তুতির চূড়ান্ত। আজ, বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত জেলায় কার্নিভাল। মুখ্যসচিবের নির্দেশে আজ জেলায় জেলায় পুজো কার্নিভাল। এ নিয়ে উন্মাদনা তুঙ্গে । কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ– অধিকাংশ জেলাতেই কার্নিভাল-প্রস্তুতি প্রায় সারা। হাওড়ার ফোরশোর রোডে বিকেল চারটে থেকে কার্নিভাল শুরু হবে। উত্তর চব্বিশ পরগনার চার জায়গায় দু’দিন ধরে কার্নিভালের আয়োজন করা হয়েছে। গতকাল বসিরহাটের দশটি সেরা প্রতিমা কার্নিভালে অংশ নিয়েছিল। আজ, বৃহস্পতিবার ব্যারাকপুর, পানিহাটি, বারাসতে হবে কার্নিভাল। অশোকনগরেও কার্নিভালের আয়োজন করা হয়েছে।
কার্নিভাল উপলক্ষে সেজে উঠেছে হুগলির জেলার চুঁচুড়া। এবছর মোট আঠেরোটি বারোয়ারি পুজো কার্নিভালে অংশ নিচ্ছে। পশ্চিম বর্ধমান জেলায় এ বছর দুটি কার্নিভাল। দুর্গাপুর ও আসানসোলে আলাদাভাবে কার্নিভালের আয়োজন করা হয়েছে। প্রথমবার কার্নিভালে সামিল হচ্ছে আসানসোল। গতবারের মতো এবারও তমলুকে হতে চলেছে পূর্ব মেদিনীপুরের কার্নিভাল। এবারেও কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হবে হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়কে পুরনো ডিএম অফিসের সামনে। শিলিগুড়ির মহাত্মা গান্ধী চকেও চলছে তোড়জোড়। আলোয় মুড়ে ফেলা হয়েছে মহাত্মা গান্ধী চক-চত্বর।
এই প্রথম কার্নিভালে অংশ নিচ্ছে জলপাইগুড়ি। জোর তৎপরতা চলছে দুই দিনাজপুরে, কোচবিহারেও। প্রস্তুতিপর্ব থেকেই প্রশাসনের তরফে ব্যাপক নজরদারি চালানো হচ্ছে। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার দিকে খেয়াল রাখা এবং কার্নিভাল সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা– এই লক্ষ্যে মোতায়েন করা হচ্ছে প্রচুর পুলিশ। ঘাটে ঘাটে থাকছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা। চলবে ড্রোন নজরদারি এবং অ্যাম্বুল্যান্স, দমকলের ব্যবস্থাও।