ভারতের বৃহত্তম গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা মারুতি সুজুকি ইন্ডিয়া লিমিটেড (এমএসআইএল) হ্যাচব্যাক সেগমেন্টের নতুন সংজ্ঞা নির্ধারণ করে সগৌরবে পেশ করছে এপিক নিউ সুইফ্ট। তারুণ্যে ভরপুর ও প্রাণবন্ত মানুষদের জন্য তৈরি এপিক নিউ সুইফ্ট নতুন বেঞ্চমার্ক সৃষ্টি করার জন্য প্রস্তুত এবং এই গাড়ি তৈরি হয়েছে তার মর্যাদা সম্পন্ন উত্তরাধিকারের ভিত্তিতে, ঠিক তার পূর্বসূরিদের মতন। বিশেষ এই মুহূর্তে মারুতি সুজুকি ইন্ডিয়া লিমিটেডের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মি. হিসাশি তাকেউচি বলেন, “২০০৫ সালে আত্মপ্রকাশ করার পর থেকে ভারতের অটোমোটিভ পরিসরে সুইফ্ট ব্র্যান্ড উৎকর্ষের প্রতীক হয়ে উঠেছে। প্রিমিয়াম হ্যাচব্যাক সেগমেন্টে ডাইনামিজম নিয়ে আসার ক্ষেত্রে এটিই হল পথিকৃৎ এবং এই গাড়ি লক্ষ-লক্ষ গ্রাহকের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছে।
এপিক নিউ সুইফ্ট-এর ক্ষেত্রে আমাদের লক্ষ্য হল এটিকে তার মজবুত উত্তরাধিকারের ভিত্তিতে তৈরি করা। তার জন্য আমরা তাদের জন্য গতিময়তার আনন্দের নতুন সংজ্ঞা নির্ধারণ করতে চেয়েছি যাঁরা সুইফ্ট গাড়ি ভালবাসেন এবং এমনকি যাঁরা গাড়ি চালানোর ব্যাপারে খুব উৎসাহী। একেবারে নতুন জেড সিরিজ ইঞ্জিন হল ভবিষ্যতের উপযোগী একটি পাওয়ারট্রেন যা পারদর্শিতা ও স্থায়িত্বের নতুন মাত্রা নির্ধারণ করেছে। এই ভাবে এই গাড়িটি নিজের সেগমেন্টে সবচেয়ে কার্যকরী হ্যাচব্যাক হয়ে উঠেছে। আমরা নিজেদের গ্রাহকদের প্রত্যাশা পূরণ করার ব্যাপারে এবং সেই প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার ব্যাপারেও দায়বদ্ধ এবং উৎকৃষ্ট মানের পারদর্শিতা পেশ করার জন্য উন্নত মানের প্রযুক্তিকে নিয়ে আসার মাধ্যমে ভারতের অটোমোবাইল শিল্পে রূপান্তর নিয়ে আসার জন্য আমরা অনবরত কাজ করে চলেছি।”
এপিক নিউ সুইফ্ট-এর আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে মারুতি সুজুকি ইন্ডিয়া লিমিটেডের মার্কেটিন ও সেল্স বিভাগের সিনিয়র এগজিকিউটিভ অফিসার শ্রী পার্থ ব্যানার্জি বলেন, “ভারতে সুইফ্ট ব্র্যান্ডের গ্রাহকের সংখ্যা ২৯ লক্ষেরও বেশি। এই ভাবে এই গ্রাহকদের মনে এই ব্র্যান্ডের বিশেষ এক স্থান আছে। এই প্রিমিয়াম হ্যাচব্যাকের প্রতিটি জেনারেশন নিজের সময়ের থেকে অনেক এগিয়ে থাকে, গ্রাহকদের নতুন-নতুন প্রত্যাশাকে বুঝে তা পূরণ করে থাকে। এপিক নিউ সুইফ্ট নিয়ে এসে আমরা সুসমৃদ্ধ এক উত্তরাধিকার তৈরি করছি এবং বেঞ্চমার্ককে আরও বাড়িয়ে তুলছি। একত্রিত পারফরম্যান্সের মাধ্যমে বৈপ্লবিক জেড সিরিজ ইঞ্জিন থেকে উভয় জগতের সেরা দিকগুলিকে পাওয়া যাবে। সেই সঙ্গে জ্বালানিও সাশ্রয় হবে উচ্চতর মাত্রায় এবং কার্বন নির্গমনও হবে কম। এই গাড়ি অনেকগুলি সুরক্ষা ফিচারে সেজে উঠেছে। যেমন, এর মধ্যে আছে ছ’টি এয়ারব্যাগ, এর সব সিটের জন্য আছে ৩ পয়েন্ট সিটবেল্ট, ইএসপি, ইবিডি সহ এবিএস, হিল হোল্ড অ্যাসিস্ট। গাড়ির চালক ও যাত্রীদের জন্য অবিরত ভাবে অধিক উন্নত সুরক্ষা ব্যাবস্থার জন্য আমাদের যে দায়বদ্ধতা, তা-ই প্রতিফলিত হয়েছে নতুন সুইফ্টে। এর সঙ্গে আছে ফিচার সমৃদ্ধ একটি কেবিন। তাই এপিক নিউ সুইফ্ট নিজের সেগমেন্টে এমন এক পণ্য হয়ে উঠেছে যেখানে সবচেয়ে দারুণ ভাবে চালকের কথা ভাবা হয়েছে।”