বর্ষার মরশুমে হেপাটাইটিস এ বিষয়ে উদ্বেগ বেড়ে যায়। সেইসঙ্গে কেরালায় একটি বড়ধরণের প্রাদুর্ভাব দেশব্যাপী উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় পশ্চিমবঙ্গে এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের লক্ষ্যে ব্যাপক স্ক্রিনিং চালানো হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ ২০৩০ সালের মধ্যে হেপাটাইটিস মুক্ত হওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে।
প্রসঙ্গত, হেপাটাইটিস এ হচ্ছে একটি লিভার-টার্গেটিং ভাইরাল সংক্রমণ, যার দ্বারা গুরুতর স্বাস্থ্যসংক্রান্ত ঝুঁকি দেখা দিতে পারে এবং গুরুতর জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। এই রোগ দূষিত খাবার বা জল, অপর্যাপ্ত স্যানিটেশন এবং দুর্বল স্বাস্থ্যবিধির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বর্ষাকালীন পরিস্থিতি এই ঝুঁকিগুলিকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। প্রতিরোধের জন্য টিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এবং সেইকারণে বিশেষজ্ঞরা শিশুদের সময়মতো টিকা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে হলে ভাল স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলন অপরিহার্য। স্ক্রিনিং, টিকাকরণ ও স্যানিটেশনের উন্নতির সমন্বয়ে পশ্চিমবঙ্গে গৃহিত সক্রিয় পদক্ষেপগুলির উদ্দেশ্য হল জনস্বাস্থ্যের উন্নতির ক্ষেত্রে নজির তৈরি করা এবং হেপাটাইটিস মুক্ত ভবিষ্যতের জন্য কাজ চালিয়ে যাওয়া।
প্রতিটি শিশুকে ১২ মাস পর্যন্ত টিকা দেওয়ার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন কলকাতার প্রবীণ শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ও ভ্যাকসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ অরুণালোক ভট্টাচার্য। তাঁর মতে, অভিভাবকদের উচিত প্রয়োজনে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে টিকাকরণের বিকল্প নিয়ে আলোচনা করা। বর্তমানে চালু থাকা ওয়ান-শট ভ্যাকসিন নিরাপদ, কার্যকর এবং দীর্ঘস্থায়ী সুরক্ষা দিতে পারে, বিশেষকরে উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলিতে এই ব্যবস্থা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি মনে করেন।