স্কুল শিক্ষিকা প্রীতি রায়ের বাঁশির সুরে মুগ্ধ হচ্ছেন বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী হলদিবাড়ি এলাকার বাসিন্দারা। ঘর সংসার ও শিক্ষকতার পেশা সামলেও নিয়মিত সঙ্গীতের তালিম নেন প্রীতি। খুব ছোট থেকে সঙ্গীত শিক্ষা শুরু করলেও ২০১৭ সাল থেকে বাঁশির প্রেমে মজে যান তিনি। এরপর থেকে চলতে থাকে নিয়মিত প্রশিক্ষণ। যখনই সময় সুযোগ হয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাঁশি বাজিয়ে সকলকে মুগ্ধ করেন প্রীতি। মূলত, আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটার একটি প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা তিনি। প্রত্যন্ত গ্রামের মেয়ে হয়েও নিজের সঙ্গীত সাধনাকে সঙ্গী করেই এগিয়ে চলেছেন শিক্ষিকা প্রীতি রায়।
তিনি জানান, একবছর আগে কোচবিহার জেলার হলদিবাড়ি এলাকার বাসিন্দা শিক্ষক অসীম রায়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে তাঁর। স্থানীয় একটি স্কুলে শিক্ষকতাও করছেন তিনি। প্রীতি জানান, বর্তমানে গুরু পার্থ সরকারের কাছে বাঁশি বাজানোর তালিম নিচ্ছেন তিনি। এরই মাঝে নিজের সহকর্মীদের আবদারে তাদের সন্তানদেরও বাঁশি বাজানো শেখাচ্ছেন সঙ্গীত শিল্পী প্রীতি।
শিল্পী প্রীতি আরো জানান, ভবিষ্যতে সুযোগ পেলে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদেরকেউ ফ্রিতে বাঁশির প্রশিক্ষণ দেবেন। পরিবারের লোকজনের ইচ্ছে আরো বড় জায়গায় পৌঁছাক প্রীতি সমস্ত রকমের সহযোগিতা করবেন তারা।