কোচবিহারঃ ঐতিহ্যের কোচবিহার (Heritage Cooch Behar) শহরে ঢোকার মুখে এ বার সবাইকে স্বাগত জানাবে তোরণ । ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে খাগরাবাড়ি মোড় হয়ে শহরে ঢোকার মুখে, ‘গ্র্যান্ড হেরিটেজ ওয়েলকাম গেট’ তৈরির প্রাথমিক কাজ শুরু করল প্রশাসন । রাজ নগর কোচবিহারের পুরনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে রাজ্য সরকারের উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছে জেলা বাসী ।
প্রশাসন সুত্রে খবর , সিটি অফ বিউটি কোচবিহারের রুপ রস উপভোগ করতে সারা বছর প্রচুর পর্যটক আসেন । কোচবিহারের রাজ বাড়ি যেমন দেশ বিদেশের পর্যটকদের প্রধান আকর্ষনের কারণ। তাদের এই তোড়ন বানিয়ে স্বাগত জানালে আরোও আকর্ষনীয় হবে রাজনগর ।
কোচবিহার হেরিটেজ কমিটিতে আলোচনার ভিত্তিতে নেওয়া প্রস্তাব অনুযায়ী, ওই তোরণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল । রাজ্য হেরিটেজ কমিশন, পূর্ত দফতরের ছাড়পত্র মিলতেই, পুজোর মুখে তোরণ তৈরির প্রাথমিক কাজে হাত দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, পূর্ত দফতর ওই কাজ করবে । প্রাথমিক ভাবে, খাগরাবাড়ি চৌপথি লাগোয়া এলাকায় বিদ্যুতের হাইটেনশন-সহ একাধিক তার মাটির নীচে কেব্লের মাধ্যমে বসানোর কাজ হচ্ছে। পুজো মিটতেই কাজের গতি বাড়বে । সব কিছু ঠিকঠাক এগোলে, চলতি বছরেই তোরণ তৈরি হবে ।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহার শহরের (Heritage Cooch Behar) ১৫৫টি স্থাপত্য, নিদর্শন আগেই হেরিটেজ তালিকাভুক্ত করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য হেরিটেজ কমিশন । বেশ কিছু প্রাচীন বাড়ির সংস্কার করা হয়েছে । সাগরদিঘি, বৈরাগি দিঘি-সহ সাতটি দিঘি সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা হয়েছে। বৈরাগি দিঘি সাজিয়ে তোলার কাজ ইতিমধ্যে অনেকটা এগিয়েছে । তার মধ্যেই এ বার হেরিটেজ প্রকল্পে ওই তোরণ শহরের নতুন আকর্ষণ হতে চলছে। পূর্ত দফতর, জেলা হেরিটেজ কমিটি, পুর দফতর, খড়গপুর আইআইটি-র বিশেষজ্ঞ-সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মহল পুরো বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করে । পাঁচটি নকশা খতিয়ে দেখার পরে, চূড়ান্ত নকশা অনুমোদন করা হয়েছে। তোরণ তৈরির কাজও শুরু হয়েছে।
প্রশাসনিক সূত্রে দাবি, তোরণটি কোচবিহারের হেরিটেজ (Heritage Cooch Behar) পর্যটনে বাড়তি মাত্রা যোগ করবে । প্রকল্পে মাটির নীচে বিদ্যুতের তার বসাতেই খরচ হবে ৩০ লক্ষাধিক টাকা। কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান (Pawan Kadyan) বলেন, “প্রাথমিক কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। পুজোর পরে, প্রকল্পের কাজে গতি আরও বাড়বে।” কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ(Rabindran Nath Ghosh) বলেন, “সাতটি দিঘিও হেরিটেজ প্রকল্পে সাজবে। বৈরাগি দিঘিতে কাজ চলছেও।”
কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে ( Nikhil Ranjan Dey) বলেন, “রাজার শহরে ঢোকার মুখে শুধু তোরণ করলেই হবে না, শহর যাতে পরিচ্ছন্ন থাকে তা-ও দেখতে হবে ।” তৃণমূলের কোচবিহার জেলা চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ (Girindra Nath Barman) বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগেই কোচবিহার শহর সাজছে । পর্যটকদের কাছে এতে আকর্ষণ বাড়বে। যাঁরা নানা কথা বলছেন, তাঁরা আখেরে কাজ কিছু করছেন না।”