পরিবেশকে রক্ষা করতে বৃক্ষরোপণ (tree plantation) এর বিকল্প আর কিছু নেই। আর আষাঢ় মাসেই হল বৃক্ষ রোপনের আদর্শ সময়। কুচবিহার পুলিশের উদ্যোগে জেলা জুড়ে পরিবেশ বাঁচাতে বৃক্ষ রোপনের জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে। মঙ্গলবার,১৩ ই আষাঢ় ১৪২৯ বঙ্গাব্দে দিনহাটার বিভিন্ন এলাকায় ১০০ চারা রোপন ও বিতরন করে পরিবেশ রক্ষায় অনন্য বার্তা দিল পুলিশ।
দিনহাটা থানার উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ
দিনহাটার প্রাণকেন্দ্র সংহতি ময়দান আর পড়ুয়াদের বিচরণক্ষেত্র দিনহাটা কলেজ এই বৃক্ষ রোপনের (tree plantation) জন্য উদ্যোগী হয় দিনহাটা থানা। মঙ্গলবার কুচবিহার জেলা পুলিশ সুপার সুমিত কুমার আই পি এসের এর উপস্থিতিতে দিনহাটা সংহতি ময়দানে বৃক্ষ রোপনের পর কলেজেও বৃক্ষ রোপন করা হয়। গাছ লাগাতে উৎসাহিত করতে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে চারা বিতরণ করে জেলা পুলিশ।
এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন দিনহাটা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ত্রিদীপ সরকার, দিনহাটা থানার আইসি সুরোজ থাপা, দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালের সুপার রঞ্জিত মন্ডল সহ অন্যান্যরা। এনসিসির ছাত্রদের নিয়ে বৃক্ষরোপনের প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে র্যালিও করা হয়।
বৃক্ষ রোপনের (tree plantation) প্রয়োজনীয়তা
গাছের তৈরি অক্সিজেন এই হলো আমাদের বাঁচার প্রাণবায়ু। একমাত্র সবুজ উদ্ভিদ পারে আমাদের এই প্রাণবায়ু তৈরি করতে। শুধু অক্সিজেন নয়, গাছের পাতা ফল বীজ আমরা খেয়ে থাকি। গাছের তন্তু থেকে আমাদের পোশাক তৈরি হয়। আমাদের বাড়িঘর আর আসবাব পত্রের তৈরির জন্য কাঠ ব্যবহার করি আমরা। বিভিন্ন রোগের ওষুধ তৈরিতে গাছের ব্যবহার হয়।
দিনহাটা পুলিশের বক্তব্য
গাছ লাগান প্রাণ বাঁচান আমাদের ভবিষ্যৎকে সুরক্ষিত রাখুন । এই স্লোগান দিয়েই বৃক্ষরোপণ (tree plantation) করা হয়। দিনহাটা থানার আইসি সুরজ থাপা বলেন, কুচবিহার জেলা পুলিশ সুপার সুমিত কুমার আইপিএস মহাশয় এর নির্দেশে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হলো। দিনহাটা সংহতি ময়দান ও দিনহাটা কলেজে গাছের চারা লাগানোর পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে চারা বিতরণ করা হয়।