” ঘোড়া ” বেচায় নাম ছিল সানির। পুর্নিয়া থেকে দামি গাড়ি দেশ জুড়ে ঘোড়া আর তার ”খাবারে”র কারবার ছিল তার। তিন ইয়ারের (3 arrested with arms) ” ঘোড়া ” বেচার অন্যতম আস্তনা ছিল দিনহাটা। ইতিমধ্যে অনেক বারই সাফল্য এসেছে। কিন্তু সোমবার রাতে ঘায়েল হত হল আর এক সানির হাতে। কোচবিহার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুমার সানী আই পি এস এর তীক্ষ্ণ চালে ৫ টি অত্যাধুনিক অস্ত্র সহ বমাল গ্রেপ্তার হল সানি, রাহুল আর ধনঞ্জয়। সাথে পুলিস বাজেয়াপ্ত করেছে সাদা রঙের মারুতি গাড়ি। কোচবিহার জেলা পুলিস সুপার অমিত কুমার বলেন, বিশেষ সুত্রে খবর পেয়ে হরিণ চড়া রেল গেটের কাছে একটি সাদা মারুতি গাড়ি আটক করা হয়। গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে পাঁচটি অত্যাধুনিক পিস্তল উদ্ধার হয়েছে। গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি চালক সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। (3 arrested with arms )
সানির ঘোড়া কেনা বেচার কারবার
বিহারের পুর্নিয়ার বাসিন্দা সানি কুমার কুমার পাশোয়ান ও তার দুই বন্ধু রাহুল মাহাতোন এবং ধনঞ্জয় শাহ (3 arrested with arms) মিলে অস্ত্র সরবরাহের কারবার চালাচ্ছিল দীর্ঘদিন ধরে। পুর্নিয়াতে অস্ত্র বানিয়ে এই রাজ্যের উত্তর বঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় পাচার করার কাজ করত তারা। দিনহাটাতে বেশ চড়া বাজার ছিল সানির দেওয়া অস্ত্রের। এর আগে কয়েক বার পুলিশকে ফাকি দিয়ে অস্ত্র বিক্রি করে গেলেও এবার তারা পাড় পেল না। হরিণ চড়ায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হতে হল তাদের।
কেমন করে পাচার হত পিস্তল
কালো ব্যাগে ভিতরে রাখা ছিল দুটি পিস্তল। আর ব্যাগের গায়ে লেখা ছিল FGEAR. নিজেদের পকেটে ভরে রেখেছিল একটি করে ঘোড়া। ৯.২ সেমি ১০.২ সেমি ব্যারেলের পিস্তল ছিল রাহুলের কাছে। সানির কাছে ওয়ান সাটার ছিল ২০.৮ সেমি লম্বা। ধনঞ্জয় এর কাছে ছিল ২০.৮ সেমি দেশি বন্দুক। ব্যাগে রাখা বন্দুক সহ সাদা গাড়ি করে দিনহাটার দিকে যাচ্ছিল তারা …
কিভাবে উদ্ধার হল অস্ত্রগুলি
সম্প্রতি এক অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে কোচবিহার ক্রাইম ব্রাঞ্চ। তার কাছেই খবর মিলের সানিদের তিন ইয়ারের (3 arrested with arms) গল্প। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিস সুপারের নেতৃত্বে বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়া হয়। পুলিশের রাডারে সানিদের দিনহাটায় অস্ত্র বেচতে আসার খবর আসে। সাদা গাড়িতে অস্ত্র নিয়ে বিহার থেকে রউনা হওয়ার পাক্কা করে খবরিয়া। মোবাইলে টাওয়ার লোকেশনে কোচবিহারে আসার সংকেত পেতেই তৎপর হয় ক্রাইম ব্রাঞ্চ। পুলিস অফিসার সৌমাল্য আইচের নেতৃত্বে হরিণ চড়ায় শুরু হয় নাকা চেকিং। সাদা রঙের গাড়ি আটকে তল্লাশি চালতেই মিলে ধৃতদের কাছ থেকে পিস্তল। আরো তল্লাসি তে মেলে দুটি দেশি ঘোড়া ।
পরবর্তী পদক্ষেপ (3 arrested with arms)
সানিদের গ্রেপ্তার করেই শেষ হচ্ছে না পুলিসি তৎপরতা । অস্ত্রের গোড়া খুজতে পুর্নিয়ায় হানা দেবে তারা। ক্রাইম ব্রাঞ্চের বিষেশ দল তৈরি হচ্ছে পরবর্তী অভিযানে। তবে কাদের কাছে অস্ত্র বিক্রি করতে এসেছিল তারা সেটাও জানার চেষ্টা হচ্ছে। কেমন করে পুর্নিয়া থেকে পুলিশ কে ফাঁকি দিয়ে অস্ত্র নিয়ে কোচবিহারে পৌছাল তারা সেটাও জানার চেষ্টা করছে পুলিস।