ইউরিক অ্যাসিডে কুমড়োর উপকারিতা

ইউরিক অ্যাসিডের বৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন না হলে বিপদে পড়বেন। পুরুষদের রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা ৭.২ এমজি/ডিএল এবং মহিলাদের রক্তে ৬ এমজি/ডিএল ছাড়িয়ে গেলেই বিপদ। এটিই একটি লক্ষণ যে আপনার শরীর নীরবে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি করছে। এই অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড শরীর থেকে বেরোতে না পারলে জয়েন্টগুলোতে ক্রিস্টাল হিসেবে জমা হতে শুরু করে। তখনই শুরু হয় জ্বালা-যন্ত্রণা ও কষ্ট। পায়ের বুড়ো আঙুল, গোড়ালি, হাঁটুতে ব্যথা শুরু হয়। এই সমস্যাকে গাউট বলা হয়।

ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমে গেলে ওষুধ খেতে হবে। সামুদ্রিক খাবার, লাল মাংস এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন। কিন্তু ডাল, ঢ্যাঁড়শ বা টমেটো খাওয়া বন্ধ করার দরকার নেই। বরং বেশ কিছু সবজি আছে, যা নিয়মিত খেলে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে আসবে।

কুমড়ো: কুমড়োতে রয়েছে ভিটামিন সি। এই পুষ্টি উপাদান ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কুমড়াতে বিটা-ক্যারোটিন এবং লুটিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও রয়েছে, যা শরীরের প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। এটি গাউটেরও ব্যথা কমায়।

টমেটো: ইউরিক অ্যাসিড বাড়াতে টমেটো খাওয়া বন্ধ করার দরকার নেই। আপনি টমেটো বীজ এড়িয়ে যেতে পারেন। টমেটোতে রয়েছে ভিটামিন সি এবং বিটা ক্যারোটিন। এগুলো ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমায় এবং গাউটের ব্যথা উপশম করে।

মাশরুম: সারা বছর বাজারে মাশরুম পাওয়া যায় না। তাছাড়া বাঙালিরা রান্নাঘরে মাশরুম খুব একটা রান্না করে না। তবে এসব খাবারে বিটা গ্লুকান নামক ফাইবার থাকে। এছাড়াও মাশরুম ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ। মাশরুম ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করে।

পটল: পটল ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে দারুণ কাজ করে। পটলের তৈরি পদ খেয়ে  আপনি ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন।