মালদা শহরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো শিশু সংসদ নির্বাচন

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজনীতি! বিষয়টা ঠিক তেমন নয়, শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশ মেনে মালদা শহরের ললিত মোহন শ্যাম মোহিনী প্রাথমিক বিদ্যালয় অনুষ্ঠিত হলো শিশু সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনের নিয়ম মেনেই, বিদ্যালয়ের ক্ষুদে ছাত্ররা লাইনে দাড়িয়ে ভোট দিয়ে বেছে নিলেন তাদের পছন্দের প্রার্থীকে। তাদের ভোটেই নির্বাচিত হবে বিদ্যালয়ের আগামী প্রধানমন্ত্রী, খাদ্যমন্ত্রী, পরিবেশ মন্ত্রী, ক্রীড়া মন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী। আগামীতে যারা বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাহায্যে, বিদ্যালয়ের মিড ডে মিল, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা সহ বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখবে। প্রয়োজনে কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, অনুষ্ঠিত হবে মন্ত্রিসভার বৈঠক। সেখানে মন্ত্রীরা ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন প্রতিটি দপ্তরের চারজন করে প্রতিনিধি। কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর তারা, সেগুলি প্রথমে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষের নজরে আনবে। প্রতিবছর শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশ অনুসারে এই কমিটি গঠন করা হবে।

আজ বিদ্যালয় এই নির্বাচন উপলক্ষে শিশুদের উৎসাহ উদ্দীপনা ছিল লক্ষ্য করার মতো। বিগত সাত দিনের তাদের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে প্রচার চালানোর পর, আজ বিদ্যালয়ে শিশু সংসদ নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য নির্বাচন কক্ষে উপস্থিত ছিল, প্রিজাইডিং অফিসার, ফার্স্ট এবং সেকেন্ড পোলিং অফিসার ছাড়া অন্যান্য আধিকারিকরা। ভোটদানের গোপনীয়তা রক্ষা করার জন্য করা হয়েছিল আলাদা ভোটদান কক্ষ।
নির্বাচনে ভোটদান কারী প্রত্যেক ছাত্রকে তাদের পছন্দের প্রার্থী বাছাই করতে দেওয়া হয়েছিল ব্যালট পত্র।

আজকের নির্বাচনে উপস্থিত বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শ্রী মানিক চন্দ্র সাহা, যিনি প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করছিলেন, তিনি জানান, শিশুদের মধ্যে নেতৃত্ব দানের ক্ষমতা বৃদ্ধি, এবং আগামীতে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কাজ শিক্ষকদের সাথে মিলিতভাবে পড়ার উদ্দেশ্যেই আজকের এই নির্বাচন। শিশুদের বিগত বেশ কিছুদিন ধরে নির্বাচনের বিভিন্ন বিষয়গুলি, নিরপেক্ষভাবে ভোটদান সম্পর্কে অবহিত করা হয়। অন্য এক শিক্ষক তিনি ফার্স্ট পোলিং অফিসার হিসেবে যুক্ত ছিলেন তিনি জানান, শিশুদের বেশ কিছুদিন ধরেই আমরা নির্বাচনের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে অবহিত করেছি। প্রত্যেকটি প্রার্থীর জন্য বাছাই করে পাঁচ জনকে নির্বাচিত করা হয়েছে। সেখান থেকে মন্ত্রী হিসেবে একজনকে ভোটদানের মাধ্যমে শিশুরা বেছে নেবে।

আজ এই শিশু সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে শিশুদের উৎসাহ উদ্দীপনা ছিল প্রবল। ভোট দিয়ে বেরিয়ে এসে খুশি সকলেই। কাকে ভোট দিয়েছো, এই প্রশ্নের উত্তরে শিশুরা জানিয়েছে, এটি গোপন ব্যাপার, বলা সম্ভব নয়। অন্য এক ছাত্রের বক্তব্য, আমরা আজকের এই ভোট দান খুব ভেবেচিন্তে করেছি। আমাদের প্রিয় মানুষ বা বন্ধুকে ভোট দিই নি। যে বিদ্যালয়ের কাজকর্ম ভালোভাবে করতে পারবে আমরা তাকেই আজকে ভোট দিয়েছি।