চলছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে কেউ হাসিমুখে, কেউবা ব্যাজার করে বেরোচ্ছেন পরীক্ষা দিয়ে। পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিন থেকেই চিন্তার ছাপ ছিল পরীক্ষার্থীদের মুখে, হবে নাই বা কেন? জীবনের প্রথম বড় ও বোর্ডের পরীক্ষা বলে কথা। একদিকে যেমন ছাত্র ছাত্রীদের মুখে ভয় ও চিন্তার ছাপ, ঠিক তেমনই চিন্তার ভাজ রয়েছে অভিভাবকদের মুখে।
রেজাল্ট কি হবে,আদৌ ভালো জায়গায় পড়ার চান্স পাবে তো সন্তানেরা, এখান থেকেই তো শুরু। আর এই চিন্তিত মুখ নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে রয়েছেন অভিভাবকরা। এবার সেই অভিভাবকদের পাশে শিলিগুড়ির রাকেশ। পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর স্কুলের ত্রিসীমানাতেও থাকতে দেওয়া হচ্ছে না অভিভাবকদের।কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই চলছে এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা। আজকে ভৌত বিজ্ঞান দিয়ে শেষ দিন। তবে পরীক্ষা শেষে কেউ বেরিয়ে হাসিমুখে, কেউবা ব্যাজার করে।
পরীক্ষার্থীদের পাশাপাশি সেই চিন্তা ঘুরছে অভিভাবকদের মধ্যে। আজকের পরীক্ষা কেমন হবে, ভেবে কুল কিনারা পাচ্ছেন না। তাই কড়া রোদের মধ্যে দাঁড়িয়েই অপেক্ষা করছেন পরীক্ষা শুরু হওয়ার দিন থেকে।তাদের কথা চিন্তা করে আজ শিলিগুড়ির বরদাকান্ত স্কুলে পৌছলো সমাজসেবী রাকেশ পাল। হাতে ছিল পানীয় জল এবং বিস্কুট। সকাল সকাল না খেয়েই বেরিয়েছেন অনেকে, তাদের কথা ভেবেই পেট ভরানোর ব্যবস্থা করেছেন তিনি। রাকেশ বাবুর কথায়, তিনি সবসময় মানুষের পাশে থাকতে ভালোবাসেন।অনেকেই রয়েছেন যাদের পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে অসুবিধে হচ্ছে, তাদেরকে ই-রিকশা পরিষেবা তো দিচ্ছেনই, সাথে আজ অভিভাবকদের হাতে জল ও বিস্কুটও তুলে দেন।এই জল বিস্কুট পেয়ে বেজায় খুশি অভিভাবকেরা।