জলপাইগুড়ি:- ভারত – বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এলাকা গুলোর মধ্যে ইতিমধ্যেই সংবাদ শিরোনামে এসেছে জলপাইগুড়ির সদর ব্লকের সাতকুড়া, মানিকগঞ্জ। অশান্ত বাংলাদেশ থেকে শান্তির খোঁজে, প্রাণ বাঁচাতে ভারতে আশ্রয়ের জন্যে এই সীমান্তে এসে ভীড় করেছিলেন হাজার হাজার বাংলাদেশি নাগরিক। বাংলা দেশের হিংসার আচ যাতে ভারতে না পরে তার জন্য সীমান্ত লাগোয়া এলাকাগুলিতে মোতায়েন করা হয়েছে ভারতের আধা সেনা বাহিনীকে।অনুপ্রবেশকারী আটকাতে কিংবা কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতেই ২৪ ঘন্টা জওয়ানদের কড়া নজরদারিতে রাখা হয়েছে এই এলাকাগুলো। ইতিমধ্যেই ভারতীয় বিএসএফ জওয়ান ও বাংলাদেশের সেনার মধ্যস্ততায় অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে ঢোকা বন্ধ করলেও সীমান্তবর্তী ভারতীয় নাগরিকদের মনে বিরাজমান দুশ্চিন্তার কালো মেঘ।
এরই সঙ্গে দোসর হয়েছে কাঁটাতারের ওপারে ভারতের জমিতে চাষাবাদ করতে না পারা। অবাক লাগছে? ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতার থাকলেও সে দেশে ভারত সরকারের তরফে রয়েছে প্রায় ১৫০০ বিঘা জমি। সেই জমিই রক্ষণাবেক্ষণ করে, জমিতে চা থেকে শুরু করে ধান এবং অন্যান্য নানা সবজি চাষ করে অর্থ উপার্জন করতেন জলপাইগুড়ির মানিকগঞ্জ সংলগ্ন সাতকুরা( দক্ষিণ বেরুবাড়ী) এলাকার মানুষ। কিন্তু বাংলাদেশের উত্তাল পরিস্থিতি ক্রমে স্বাভাবিকের পথে গেলেও কাঁটাতার পেরিয়ে সে দেশে যেতে পারছেন না কৃষকেরা।
এতে যেমন জমির রক্ষণাবেক্ষণ বন্ধ ও পাশাপাশি বন্ধ চাষাবাদ। একদিকে, যেমন চা গাছ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা যাচ্ছে না দিনের পর দিন।অন্যদিকে, ধান গাছ পরিচর্যা করা যাচ্ছে না পাশাপাশি জমির ফসল রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হচ্ছে। রুজি রুটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যার সম্মুখীন সীমান্ত গ্রামের কৃষক সমাজ। এর আগে আধার কার্ড বিএসএফের কাছে জমা রেখে কাঁটাতার পেরিয়ে যাওয়া যেত ভারতের সেই জমিতে। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে ওপার বাংলার হিংসাত্মক ঘটনাকে কেন্দ্র করে বন্ধ সেই যাতায়াত। কবে পরিস্থিতির স্বাভাবিক হবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। এমত অবস্থায় কিভাবে চলবে সংসার, কবেই বা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে… সেই চিন্তায় দিশেহারা এলাকার কৃষককুল।