মুম্বাই ভিত্তিক ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি বৈশালী ফার্মা লিমিটেড তার সাম্প্রতিক বোর্ড মিটিংয়ে বেশ কয়েকটি কৌশলগত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। এগুলির মধ্যে রয়েছে – (১) প্রয়োজনীয় অনুমোদন সাপেক্ষে ইক্যুইটি শেয়ারের ১:১ বোনাস ইস্যুর সুপারিশ। এর লক্ষ্য হল বর্তমান শেয়ারহোল্ডারদের পুরস্কৃত করা, লিকুইডিটি বৃদ্ধি করা ও শেয়ারহোল্ডার বেস প্রসারিত করা। (২) ১০ টাকা ফেস ভ্যালুর প্রতিটি ইক্যুইটি শেয়ারকে ২ টাকা ফেস ভ্যালুর পাঁচটি ইক্যুইটি শেয়ারে ভাগ করে স্টক বিভাজনের অনুমোদন। (৩) বিভিন্ন উপায়ে তহবিল সংগ্রহের বিবেচনা করা, যেমন রাইটস ইস্যু, প্রাইভেট প্লেসমেন্ট, কোয়ালিফায়েড ইনস্টিটিউশনস প্লেসমেন্ট (কিউআইপি), বা প্রেফারেন্সিয়াল ইস্যু।
সংস্থাটি ২০২৫ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে শক্তিশালী ফিনান্সিয়াল পারফরম্যান্সের কথা জানিয়েছে, বিক্রয় ৩৪.৭% বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আগের ত্রৈমাসিকের তুলনায় নিট মুনাফায় ৭.১৩% বৃদ্ধি ঘটেছে।
বৈশালী ফার্মা ফার্মাসিউটিক্যাল সেক্টরে তার অবস্থান শক্তিশালী করার জন্য কৌশলগত উদ্যোগের সঙ্গে বৃদ্ধি ও উদ্ভাবনের দিকে মনোনিবেশ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে: (১) বিভিন্ন অঞ্চলে ১৯টি নতুন রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্তি, যা কোম্পানির বার্ষিক আয়ে প্রায় ১০০ মিলিয়ন টাকা যোগ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। (২) বায়োটিন ও মাল্টিভিটামিন গামিস (Biotin and Multivitamin Gummies) দিয়ে শুরু করে স্থানীয় অনলাইন বাজারের জন্য একটি নতুন ব্র্যান্ড ‘হেলথ-ই’ (HealthE) চালু করা। বৈশালী ফার্মার লক্ষ্য ফার্মাসিউটিক্যালস ও হেলথকেয়ার ইন্ডাস্ট্রিতে একটি সুপরিচিত ভারতীয় বহুজাতিক (Indian multinational) হয়ে ওঠা, উচ্চমানের পণ্য ও পরিষেবার মাধ্যমে সমাজের কল্যাণ ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রে অবদান রাখা।