চিকিৎসার আগে ব্যথার সঠিক কারণ জানার পরামর্শ অ্যাপোলো কলকাতার ডঃ দাসের

শরীরে যেকোনও ব্যথা দৈনন্দিন কাজকর্মকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এই ধরনের একটি সমস্যা হল নিউরোপ্যাথিক পেইন। এই ব্যথা থাকলে রোগীরা অত্যন্ত সংবেদনশীল বোধ করেন, হালকা স্পর্শেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান। সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে ব্যথার লক্ষণ ও কারণ চিহ্নিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন কলকাতার অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালের ডাঃ সর্বজিৎ দাস।

আপনি যদি শরীরের কোথাও ব্যথা অনুভব করেন, যেমন আপনার হাতের তালুতে, পায়ে, মুখের একপাশে, অথবা জ্বালা অনুভব করেন, তবে এটি নিউরোপ্যাথিক পেইনের লক্ষণ হতে পারে। কখনও কখনও ব্যথা পিঠের নীচে থেকে পায়ে বা ঘাড় থেকে বাহু পর্যন্ত ছড়াতে পারে।

নিউরোপ্যাথিক ব্যথার কারণ অনেক কিছু হতে পারে। সাধারণত কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা থেকে তৈরি হয়। স্ট্রোক, বিপাকীয় সমস্যা, ডায়াবেটিস, স্নায়ুর উপর সরাসরি চাপ, অত্যধিক অ্যালকোহল সেবন, নির্দিষ্ট ভিটামিনের ঘাটতি, বিভিন্ন সংক্রমণ, ক্যান্সার-এর চিকিৎসা, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, বাতের মতো রোগ, বংশগত রোগ এবং আরও অনেক কারণে এটি হতে পারে। ডাঃ সর্বজিৎ দাস ব্যাখ্যা করেছেন যে, নিউরোপ্যাথিক ব্যথার চিকিৎসার আগে এই কারণগুলি সনাক্ত করা দরকার। তাঁর মতে, আপনার যদি নিউরোপ্যাথিক ব্যথার কোনও উপসর্গ থাকে, তাহলে একজন নিউরোলজিস্টের সঙ্গে পরামর্শ করাই শ্রেয়।  সঠিক ওষুধ, পুষ্টিকর খাদ্য, এবং ব্যায়াম অনেক ক্ষেত্রে স্বস্তি দিতে পারে।