নতুন করে কাঁপল তুরস্কের মাটি ভূমিকম্পের জেরে মৃত্যুর হার  ৪০০০!

আবার কেঁপে উঠল তুরস্কের মাটি। আগের ভূমিকম্পের রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন করে আবার ভূমিকম্প তুরস্কে। ইউরোপিয়ান মেডিটেরানিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) জানিয়েছে, মঙ্গলবার মধ্য তুরস্কে ৫.৬ মাত্রার আবার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল মাটি থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার গভীরে। পশ্চিম এশিয়ার এই দেশে বিপর্যয় যেন থামতেই চাইছে না। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত সোমবারের ভূমিকম্পের জেরে প্রায় ৪০০০ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

 সোমবার স্থানীয় সময় অনুযায়ী ভোরে ৪টে নাগাদ কেঁপে ওঠে তুরস্ক এবং সিরিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। কম্পনের উৎসস্থল ছিল দক্ষিণ তুরস্কে। গাজিয়ানতেপ প্রদেশের পূর্ব দিকে নুরদাগি শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার পূর্বে। ভূগর্ভের প্রায় ১৮ কিলোমিটার গভীরে। প্রথম কম্পনের ১১ থেকে ১৫ মিনিটের ব্যবধানে দ্বিতীয় বার কেঁপে ওঠে লেবানন, সিরিয়া এবং সাইপ্রাসের বিভিন্ন অংশ। ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস)-র মতে, এই কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.৭। এর পর থেকে একাধিকবার কেঁপে উঠেছে তুরস্ক এবং সিরিয়া।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এগুলি মূল ভূমিকম্পের ‘আফটারশক’। এটি মূলত ভূগর্ভের নীচে একে অপরের সঙ্গে ধাক্কা খাওয়া পাতগুলির পুনর্বিন্যাস প্রক্রিয়া। প্রথম ভূকম্পের পর উৎসস্থলের কাছাকাছি নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে বার বার কেঁপে ওঠে বিধ্বস্ত এলাকা। সেগুলিকেই ‘আফটারশক’ বলে। বড় ভূমিকম্পের পর এই ‘আফটারশক’গুলি হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আফটারশকের সংখ্যা কমতে থাকে। তবে কখনও কখনও ‘আফটারশক’ এক বছর পর্যন্ত হতে পারে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *